Main Menu

বাঁশের সাঁকো দিয়ে ‘ঝুঁকি নিয়ে’ পারাপার

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
সরকারি অর্থায়নে ৪৫ বছর পূর্বে শয়তানখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি পাঁচ বছর ধরেই জরাজীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ। পাটাতন দেবে যাওয়া ছাড়াও পিলারসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে সেতুটি।পাঁচ বছর ধরে সেতুটি প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সবার মধ্যে।

গত পাঁচ বছর ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক ছিলো মানুষ চলাচল। সম্প্রতি দুর্ঘটনা এড়াতে একেবারেই বন্ধ করা হয়েছে তা-ও। ফলে বিকল্প হিসেবে সেতুর পাশে তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে মানুষজনকে।

এমনই এক সংকটজনক অবস্থা বিরাজ করছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সদরের মধ্যবাজারে অবস্থিত শয়তানখালী খালের ওপর নির্মিত।

সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটির সংযোগ সড়কের দুই মুখে বাঁশের বেষ্টনী দিয়ে মানুষের চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে সেতুর দক্ষিণ পাশে নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন ধর্মপাশা সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়ের পাশা হিমু।যে সাঁকোর ওপর দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনকে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, এই সেতুটির দুই পাশে রয়েছে এলজিইডির সড়ক। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। সেতুটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান সবাই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহাব উদ্দিন জানান, সেতুটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা পরিদর্শন করেছি। এখানে নতুনভাবে সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুবায়ের পাশা হিমু জানান, শয়তানখালী সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পরও এর ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করেছে। তবে এতে প্রাণহানীর আশঙ্কা ছিল। তাই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নিজস্ব অর্থায়নে এই সাঁকোটি নির্মাণ করে দিয়েছি।

ধর্মপাশার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও-র দায়িত্বে থাকা উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অলিদুজ্জামান বলেন, চলাচলের জন্য একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *