সাহায্য চাওয়া সম্পর্কে নবিজি (সা.) যা বলেছেন
ইসলাম ডেস্ক:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সব সময় মানুষের কাছে চেয়ে থাকে, সে কেয়ামতের দিন এমনভাবে উপস্থিত হবে যে, তার চেহারায় কোন গোশ্ত থাকবে না।’ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারো কাছে কোনো কিছু চাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে-
১. হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, কিছু সংখ্যক আনসারি সাহাবি আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কিছু চাইলে তিনি তাঁদের দিলেন, পুনরায় তাঁরা চাইলে তিনি তাঁদের দিলেন। এমনকি তাঁর কাছে যা ছিল সবই শেষ হয়ে গেল। এরপর তিনি বললেন, আমার কাছে যে মাল থাকে তা তোমাদের না দিয়ে আমার কাছে জমা রাখি না। তবে যে চাওয়া হতে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখেন আর যে পরমুখাপেক্ষী না হয়, আল্লাহ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে সবর দান করেন। সবরের চেয়ে উত্তম ও ব্যাপক কোন নি‘আমত কাউকে দেয়া হয়নি।’ (বুখারি ১৪৬৯)
সম্পদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কারো কাছে কিছু না চাওয়া। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে কঠোর ক্ষতির কথা বলা হয়েছে-
২. হজরত আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সব সময় মানুষের কাছে চেয়ে থাকে, সে কিয়ামতের দিন এমনভাবে উপস্থিত হবে যে, তার চেহারায় কোন গোশ্ত থাকবে না।’ (বুখারি ১৪৭৪)
ঈমানদারদের গুণ হলো অভাব-অনটন সত্ত্বেও তারা চাওয়া ও ভিক্ষা করা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে এবং নাছোড় বান্দা হয়ে চাওয়া থেকে বিরত থাকে। মানুষের কাছে বেশি চাওয়াকে আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন। হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা তুলে ধরেছেন এভাবে-
৩. আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তোমাদের তিনটি কাজ অপছন্দ করেন- ১. অনর্থক কথাবার্তা, ২. সম্পদ নষ্ট করা এবং ৩. অত্যধিক সওয়াল করা বা সাহায্য চাওয়া। (বুখারি ১৪৭৭)
৪. হজরত যুবাইর ইবনু আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ রশি নিয়ে তার পিঠে কাঠের বোঝা বয়ে আনা এবং তা বিক্রি করা, ফলে আল্লাহ তার চেহারাকে (সাহায্য চাওয়ার লাঞ্ছনা থেকে) রক্ষা করেন, তা মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়ারে চেয়ে উত্তম, চাই তারা দিক বা না দিক।’ (বুখারি ১৪৭১)
৫. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার হাতে আমার জীবন, সেই সত্তার কসম! তোমাদের মধ্যে কারো রশি নিয়ে কাঠ সংগ্রহ করে পিঠে করে বয়ে আনা, কোন লোকের কাছে এসে চাওয়া অপেক্ষা অনেক ভাল, চাই সে দিক বা না দিক।’ (বুখারি ১৪৭০)
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More