Main Menu

ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং

ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং
নিউজ ডেস্ক:
ব্ল্যাকআউটের পর থেকে সিলেটে অসহনীয় মাত্রায় বেড়েছে লোডশেডিং। চাহিদার দুই তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছে সিলেটের বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে করে এক তৃতীয়াংশ সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এছাড়া তীব্র গরমে সিলেটে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। ফলে লোডশেডিংয়ের কারণে সিলেটের মানুষের জীবনযাত্রা অহসনীয় হয়ে উঠেছে। দিনে ও রাতে সমানভাবে লোডশেডিং হওয়ায় জনজীবনে এর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে সেবা ও উৎপাদনশীল খাতে বিপর্যয় কাটছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে; সিলেটে পিক আওয়ার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৬৫০ থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট। অফ পিক আওয়ারে এই চাহিদা ৪৫০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদা মতো বিদ্যুৎ মিলছে না।

গত মঙ্গলবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ব্লাকআউটের ঘটনা ঘটে। এর পূর্ব পর্যন্ত অবশ্যই সহনীয় মাত্রায় লোডশেডিং ছিল। দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং করা হতো।

কিন্তু মঙ্গলবারের পর থেকে দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে গেছে। ব্ল্যাকআউটের রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও লোডশেডিং কমছে না। বরং বেড়েই চলেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে চাহিদাও। সিলেটে গত দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এই গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। স্বস্তি হিসেবে বিদ্যুৎই একমাত্র ভরসা। বিশেষ করে বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত লোডশেডিং বেশি হওয়ায় সেবা ও উৎপাদনশীল খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতেও রোগীর দুর্ভোগ বেড়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগের তথ্যমতে- শনিবার দুপুরে সিলেট বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪৫৩ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে জাতীয় গ্রীড থেকে সরবরাহ করা হয় ৩১৭ মেগাওয়াট। এতে দেখা গেছে ১৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সংকট ছিল। প্রাপ্ত লোডের মধ্য থেকে পিডিবিকে দেয়া হয়েছে ১২৮ মেগাওয়াট ও পিবিএসকে দেয়া হয়েছে ১২৮ মেগাওয়াট।

এতে শতকরা হিসেবে ৩০ মেগাওয়াট লোড কম ছিল। সিলেট বিদ্যুতের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানিয়েছেন, গ্যাসের চাপ স্বল্পতা, ব্ল্যাকআউটের ঘটনার পর থেকে সতর্কতার সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে সেগুলোতে পর্যায়ক্রমে এলাকা ভিত্তিক সরবরাহ করা হচ্ছে।

এছাড়া, পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তীব্র গরমের কারণে ক’দিন ধরে চাহিদা বেড়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ব্ল্যাকআউটের আগে পরিস্থিতি মোটামুটি সহনীয় ছিল। এখন যেহেতু ব্ল্যাকআউট হয়েছে, সে কারণে সব বিবেচনা করেই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে তিনি আশা করেন, শিগগিরই এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটানো সম্ভব হবে। এদিকে, ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের কারণে সিলেটে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সিলেটে তেমন উৎপাদনশীল খাত নেই। তবে-বিসিককেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এর বাইরে বিদেশে সবজি ও মাছ রপ্তানির জন্য কিছু কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে এসব খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সিলেটের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি স্বাস্থসেবা ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর কয়েকটি এলাকায় তীব্র লোডশেডিং করা হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই অবস্থা। এ কারণে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। দিনে লোডশেডিং হওয়ার কারণে মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের উপস্থিতি কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া, শহরতলী এবং বিভিন্ন উপজেলায় সমানতালে দিনে ও রাতে লোডশেডিং করা হচ্ছে। মফস্বলে লোডশেডিং নিয়ে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত মানুষ। কোনো কোনো উপজেলায় রাতে ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়। পিডিবি’র চেয়ে পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে বেশি পরিমাণ লোডশেডিং করা হয় বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *