Main Menu

সিলেট বহিষ্কার হচ্ছেন বিএনপির ১৫ নেতা

সিলেট বহিষ্কার হচ্ছেন বিএনপির ১৫ নেতা
নিউজ ডেস্ক:
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো নেতা নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বহিষ্কারসহ সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের একটি উপজেলা ও পৌরসভা এবং ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির ১৫ নেতা অংশ নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির দায়িত্বশীল চার নেতা। চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান গয়াছ মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল মিয়া, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মুছলিমা আক্তার চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ অঙ্গ সংগঠনের ছয় নেতা অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন, যুক্তরাজ্যের নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (প্রবাসী) মুমিন খান মুন্না, যুক্তরাজ্যের ওল্ডহ্যাম বিএনপির সভাপতি (প্রবাসী) মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমান সুমন, বিএনপি নেতা (যুক্তরাজ্যপ্রবাসী) সফিক উদ্দিন ও বিএনপি নেতা সমছু মিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪ ইউনিয়নে বিএনপির ছয় নেতা চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হামিদুল হক ভূঁইয়া বাবুল, মধ্য জাফলং ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাইদুর রহমান, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মুনিম মুন্সি ও আব্দুল মালিক, সদর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান এমএ রহীম ও মো. হোসাইন আহমদ প্রমুখ।

সিলেটে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী ১০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ১৭ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর আর ২ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *