Main Menu

দুই যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তিন শুল্ক স্টেশনে

দুই যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি তিন শুল্ক স্টেশনে
নিউজ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বড়ছড়া, চারাগাঁও এবং বাগলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানিতে প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও দীর্ঘ দুই যুগে এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সড়কগুলোও বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

জানা যায়, এ তিন শুল্ক স্টেশন দিয়ে শতাধিক ভারতীয় ট্রাকে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি করা হয়। এতে বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। এসব মালামাল পরিবহনে শুল্ক স্টেশনগুলোতে আজও নির্মাণ হয়নি পাকা সড়ক।

আমদানিকারকদের দাবি, উপজেলার সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক (বিন্নাকুলি, বড়ছড়া, চারাগাও, বাগলী ও মধ্যনগর উপজেলা পর্যন্ত) পাকাকরণ হলে আমদানিকারকরা উপকৃত হবেন। ট্রাক দিয়ে সহজে সরাসরি রাজধানীসহ দেশজুড়ে কয়লা ও চুনাপাথর পাঠানো যাবে। আর সীমান্ত নদীগুলো ড্রেজিং করা হলে নৌ-পথে সৃষ্টি দীর্ঘ নৌ-জটের দুর্ভোগ কমবে।

ব্যবসায়ী সুমন তালুকদার ও শংকর দাশ বলেন, শুল্ক স্টেশনের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা থাকায় প্রায় সময় মালামাল পরিবহনের যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বর্ষার মৌসুমে কাচা সড়কের কারণে মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, তিনটি শুল্ক স্টেশনে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সড়কে ভোগান্তিসহ আর্থিক ক্ষতি বেশি হচ্ছে।

শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল আলম বলেন, শুরু থেকেই নিজস্ব ভবন ও অফিস নেই, তিনটি শুল্ক স্টেশনের জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ সীমান্তে টিনের ঘর তৈরি করে দিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর বড়ছড়া শুল্ক স্টেশন সংলগ্ন জয়বাংলা বাজারে একটি আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় কয়েকটি রুম ভাড়া নিয়ে তিনটি শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস কর্মকর্তাদের অফিস পরিচালিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, সীমান্ত সড়কটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে চলমান রয়েছে। সেতুগুলো সম্পূর্ণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *