Main Menu

ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমান চলাচল বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমান চলাচল বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমান চলাচলের প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমান চলাচলের দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এখনো চলছে। কবেনাগাদ ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমান পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে তা এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর যেসব শর্ত দিয়েছে আমরা এখনো তা পূরণ করতে পারিনি।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবাসীরা চাইলেই কানাডা হয়ে বিমানে বাংলাদেশে যেতে পারেন। তিনি এ ব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনারা তো নিউইয়র্কে এসেই বিমানে ওঠেন। তাহলে কানাডা থেকে উঠলে ক্ষতি কী? কানাডা তো বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রা। তাই তিনি বিমানপ্রেমীদের কানাডা হয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণের পরামর্শ দেন।

দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেজন্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে যাদের এনআইডি নেই তারা পাসপোর্ট দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের দূতাবাসের ভবন তো আছেই। দূতাবাসের নিজস্ব ভবন কেনা ও তৈরির কাজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই এ বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে।

এসব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান সংঘাত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে দুরূহ করে তুলেছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে একটি রিসেপশনে অংশগ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এর আগে সকালে নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী একযোগে নিউইয়র্কের পৃথক স্থানে দুটি এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন। আস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানরের মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত মূল নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেন।

তিনি প্রবাসী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজ নিজ এলাকার মার্কিন রাজনীতিবিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা দেন। আমরা যেভাবে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি সে বিষয়গুলো তাদের অবহিত করুন।

আস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর মিলনায়তনের নাগরিক সংবর্ধনায় নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *