Main Menu

ভোগান্তির নাম সিলেট পাসপোর্ট অফিস

অতিথি প্রতিবেদক:
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই অফিসে সেবাগ্রহিতারা প্রায়শ দুর্ভোগ-ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ওই অফিসে পাসপোর্টের বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি) প্রদানের ক্ষেত্রে লোকজনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে

একাধিক সূত্র জানায়, সিলেট পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি দালাল চক্র। পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী ও সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সাথে সখ্য গড়ে ওই দালালচক্র হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ চক্রের সদস্যরা ‘উৎকোচ’র বিনিময়ে লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মধ্যে অনেককে কৌশলে ভেতরে নিয়ে যায়। এ কারণে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে অন্যরা। পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজনের সাথে ‘খারাপ’ আচরণ করতেও দেখা গেছে।

জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরী গতরাতে জানান, ‘সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ অফিসে ঢোকা একটি বড় ভোগান্তি। রোহিঙ্গা পরীক্ষা ও ফাইল জমা দেয়ার ক্ষেত্রে লোকজনকে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। উপরন্তু, এ অফিসে চ্যানেল ছাড়া ও টাকা ছাড়া ফাইল জমা দেয়া যায় না। পুলিশ রিপোর্টের ক্ষেত্রেও লোকজনকে অর্থ খরচ করতে হয়।’

তিনি বলেন, সিলেট একটি প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল। এ অফিসে কেবল সাধারণ লোকজনই নন, প্রবাসীরা অনেক সময় হয়রানির শিকার হন। প্রবাসী ও বিদেশে ভ্রমণকারীদের স্বার্থে পাসপোর্ট অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার দাবি জানান এ আইনজীবী।

অভিযানে দুদক টিম
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়।

দুদক সিলেট কার্যালয়ের সিলেটের উপ-পরিচালক নূর-ই-আলম বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ এসেছিলো। আমরা প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করার অনুমোদন পেয়েছি। আমাদের একটি টিম বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বিভিন্ন বিষয় তদন্ত করেছে। তদন্তের স্বার্থে আগামী সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ই-পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু পাসপোর্টের আবেদন করা হলেও এক সপ্তাহ পর থেকে সকলের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর পরও গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না বলে জানায় ওই সূত্র। সূত্র: সিলেটের ডাক






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *