Main Menu

হাঙ্গেরি সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক ২০ বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক:
অবৈধভাবে রোমানিয়া থেকে হাঙ্গেরি সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টারত ৪০ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি ও সিরীয় অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সাতু মেরে বর্ডার পুলিশ। অভিবাসীদের পাচারে সহযোগী হিসেবে কাজ করা দুই লাটভীয় নাগরিককেও আটক করা হয়েছে।

রোমানিয়া থেকে অনিয়মিত উপায়ে শেঙ্গেন অঞ্চলে প্রবেশ করতে চাওয়া বাংলাদেশি অভিবাসীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রোমানিয়া বর্ডার পুলিশ ৪ সেপ্টেম্বর জানিয়েছে, “রোমানিয়া থেকে অনিয়মিত উপায়ে হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করতে চাওয়া ৪০ জন অভিবাসীকে তাদের সাথে থাকা দুই গাইডসহ পৃথক দুটি অভিযানে আটক করা হয়েছে।’’

সীমান্ত পুলিশের আইপিজে সাতু মেরে শাখা এবং হাঙ্গেরি সীমান্ত পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

বর্ডার পুলিশের সিগেতু মারমাটিই টেরিটোরিয়াল ইন্সপেক্টরেটের দপ্তর জানায়, আটকৃতদের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি এবং ২০ জন সিরীয়। তাদের মূল গন্তব্য ছিল ইটালি। অভিবাসীদের সাথে সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করা দুটি মিনিবাসও জব্দ করা হয়েছে।

দুই মিনিবাসের চালক হিসেবে ছিলেন দুজন লাটভীয় নাগরিক। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার জন্য আটক করা হয়েছে৷ তারা অভিবাসীদের গাইড এবং পাচারে সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন বলে ধারণা পুলিশের।

চলতি বছরের ৩ আগস্ট থেকে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় একটি যৌথ দল গঠন করে রোমানিয়া। নতুন এই পরিকল্পনায় সাতু মেরে পুলিশের টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে, কেরেই বর্ডার পুলিশ এবং বেরভেনির পুলিশের সাথে সীমান্তবর্তী পেত্রেতি অঞ্চলের গ্রাম পুলিশ বিভাগকেও যুক্ত করা হয়।

বর্ডার পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় ৪ সেপ্টেম্বর রাত ২ টায়।অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে যৌথ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গঠিত একটি দল সীমান্ত এলাকায় টহল দেয়ার সময় স্লোভাকিয়ার নাম্বার প্লেট ব্যবহারকারী একটি মিনিবাস দেখতে পেলে সেটিকে থামান। গাড়িটিকে শনাক্ত করার পর ৪৩ বছর বয়সি লাটভীয় চালকের কথায় সন্দেহে হলে পুরো গাড়িটি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। অধিকতর তদন্তের পর গাড়ির ভেতরে থাকা ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে পায় পুলিশ।

বর্ডার পুলিশ আরও জানায়, “তদন্তের পর ২০ বাংলাদেশির কারও কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় সবাইকে স্থানীয় সাতু মেরে বর্ডার পুলিশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিবাসীদের সবাই ২০ থেক ৪০ বছর বয়সি।”

এই অভিযানের কয়েক ঘন্টা পর পায়ে হেঁটে হাঙ্গেরি সীমান্তের দিকে যেতে থাকা আরও ২০ জন সিরীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীকে আটক করে বেরভেনি বর্ডার পুলিশ।

এই দলের পাশেও একটি মিনিবাসকে দেখা যায় যেটি একজন ৪২ বছর বয়সি লাটভীয় নাগরিক চালাচ্ছিলেন। এই ভ্যানটিও স্লোভাকিয়ার নাম্বার প্লেট ব্যবহার করছিল।

প্রথম দলের ধারাবাহিকতায় এই ২০ জন অভিবাসী এবং তাদের চালককেও বর্ডার পুলিশের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পর সীমান্ত পুলিশ জানায়, দ্বিতীয় মিনিবাস চালক অভিবাসীদের সীমান্ত এলাকায় নামিয়ে দিয়ে হাঙ্গেরি সীমান্তের কোন প্রান্তে অপেক্ষা করবেন সেটি বলে দিয়েছিলেন। আটক হওয়া সিরীয় নাগরিকেরা ১১ থেকে ৪৭ বছরের বয়সি। তাদের সাথে ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে।

আটককৃত ৪০ জন বিদেশির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টার অপরাধ এবং দুই লাটভীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের তদন্তের নির্দেশ দেয় স্থানীয় সাতু মেরে আদালতের সাথে সংযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়। পাশপাশি দুই চালককে ২৪ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন এবং ফেরত পাঠানোর আদেশ চূড়ান্ত করার পরবর্তী প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত ৮ ও ১৪ আগস্ট স্থানীয় পিটিয়া সীমান্ত পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত এক অভিযানে ৫৪ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল। সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *