Main Menu

দেশের চা শ্রমিকদের রক্ষায় বার্লিনে সমাবেশ

নিউজ ডেস্ক:
দেশের চা শ্রমিকদের রক্ষায় বার্লিনে সমাবেশ।
দেশের চা-শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি প্রদান ও অন্যান সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বার্লিনের প্রবাসীরা। রোববার রাজধানী বার্লিনের ঐতিহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গার গেটের সামনে প্রবাসীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশে দেশে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের সাথে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেন উপস্থিত সকলে।

এসময় উপস্থিত সকলে বলেন দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বাংলাদেশ চা সংসদ’ ও ‘বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন’ এর মধ্যে ২০১৯-২০ মেয়াদের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা ছিল প্রহসন মাত্র। চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে নিন্মতম মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম চলমান অবস্থায় এত কম মজুরিতে চুক্তি করার মাধ্যমে মজুরি বোর্ডকে প্রভাবিত করা হয়েছিল বলেও বিষয়টি স্পষ্ট করেন বক্তারা। সেই সময়ও চা শ্রমিক ইউনিয়ন ৩০০ টাকা মজুরির দাবি করেছিল কিন্তু মেনে নেয়নি শোষণরত চা বাগানের মালিকরা। কিন্তু বিগত সময়ে মুদ্রাস্ফীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে টাকার প্রকৃত মূল্য কমে গেলেও চা শ্রমিক ইউনিয়ন এখনো ৩০০ টাকার দাবিতে আটকে আছে। বিলম্বিত চুক্তির মাধ্যমে মালিকরা একদিকে শ্রমিকদের অন্তত একটার্মের মজুরি বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত করছে অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ের পাওনা সময়মত পরিশোধ না করে সঞ্চয়ের সময়জনিত মুনাফার মাধ্যমে দিনকে দিন রাঘববোয়ালে পরিণত হচ্ছে।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, ৩০০ টাকার মজুরি দিয়ে সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে কিন্তু স্থায়ী ভাবে সমস্যার সমাধানের জন্য সকল শ্রমিকের জন্য প্রচলিত বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নূন্যতম অভিন্ন জাতীয় মজুরি কাঠামো অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে নূন্যতম অভিন্ন জাতীয় মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে জাতীয় ন্যূনতম ন্যায্য মজুরি কমিশন গঠন করতে হবে।
এ সময় দুঃখ করে বক্তারা আরো বলেন, চা বাগানে কর্মরত পাঁচ-ছয় সদস্যের এখনো অনেক পরিবার আছে যেখানে একজন কাজ করে পাচ্ছে মাত্র ১২০ টাকা। পরিবারের অন্যান সদস্যদের এই টাকার উপরই ভরসা করতে হচ্ছে। এতে করে শ্রমিকদের দিন কাটছে অর্ধাহারে আর অনাহারে। আঁটোসাটো জীর্ণশীর্ণ কুঁড়েঘরে দিন কাটাতে হচ্ছে গবাদিপশুসহ সন্তানদের নিয়ে। এমনকি বাগান কর্তৃপক্ষের ঘর মেরামত করে দেয়ার কথা থাকলেও তাতে ভ্রুকুটি নেই মালিকদের।

বক্তারা আরো অভিযেগের সুরে বলেন, শ্রমিকদের নেই নিজস্ব কোনো জায়গা। আবার বাগানে কাজ না করলে হুমকি দেয়া হয় উচ্ছেদের। তাই এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না।

এ মময় অন্যানদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ বাবুল, শামান রহমান, নজরুল রাসেল, জাহিদ কবীর হিমন, তন্বী নওশিন, শাম্মী, মিলন, মিতালি মুখার্জি, মাহিন ও শরীফসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা। এমময় স্থানীয় জার্মান অধিবাসীদের প্ল্যাকাট হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

চা শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন উপস্থিত সকলেই।
সমাবেশ থেকে সরকারের ঘোষিত ৩০০৭ ডলারের মাথাপিছু আয়ের প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *