Main Menu

ছয় মাসে ৬ হাজারের বেশি অভিবাসীকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি

নিউজ ডেস্ক:
ছয় মাসে ৬ হাজারের বেশি অভিবাসীকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার ২০০ বিদেশি নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি। রবিবার (২১ আগস্ট) জার্মান পার্লামেন্টে বামপন্থি দলগুলির প্রশ্নের জবাবে ফেডারেল সরকার এই তথ্য জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপ।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে, জার্মান কর্তৃপক্ষ ছয় হাজার ১৯৮ জন বিদেশি নাগরিককে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে। ফেরত পাঠানোর মধ্যে প্রধান তিনটি দেশ ছিল উত্তর মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া এবং জর্জিয়া। অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে ‘মিনি চার্টার ফ্লাইটের’ পেছনেই প্রায় ছয় লাখ ইউরো খরচ করেছে জার্মান সরকার। ফেরত পাঠানোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন উত্তর মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া এবং জর্জিয়ায় নাগরিকেরা।

২৩০ জনকে তুরস্কে নির্বাসিত করা হয়েছিল। ডাবলিন বিধিমালার অংশ হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে এক হাজার ৮২৬ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছে। জোটের যে দেশে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রথম প্রবেশ করেছিলেন এবং আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন সেখানেই পাঠানো হয়েছে তাদের।

ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মানিতে জোট সরকারের সমঝোতা চুক্তিতে “জার্মানি ত্যাগের বাধ্যবাধকতাকে আরও ভালোভাবে বাস্তবায়িত করার বিষয়টি” নির্ধারণ করা আছে। এই নিয়মের ফলে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের নির্বাসন আটকের প্রক্রিয়া সহজ হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে গত বছর(২০২১ সাল) ১১ হাজার ৯৮২ জন ফেরত পাঠানো হয়৷ ২০২০ সালে, জার্মান কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার ৮০০ জনকে নির্বাসিত করে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে কম। ২০১৯ সালে ২২ হাজার ১০০ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছিল৷

জার্মান নিউজ ম্যাগাজিন দ্য স্পিগেল অনুসারে, জুলাই মাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ জার্মানি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়া বা অনুমতি ছাড়া জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে অথবা ইউরোপের যে দেশের উপর তাদের দায়িত্ব বর্তায় সে দেশে ফেরত পাঠায় জার্মানি কর্তৃপক্ষ৷ এক্ষেত্রে কেউ স্বেচ্ছায় যেতে না চাইলে ফ্লাইট ভাড়া করে তাদেরকে জোর করে ফেরত পাঠায় দেশটি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *