Main Menu

রোহিঙ্গাদের নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

নিউজ ডেস্ক:
রোহিঙ্গাদের নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তিতে দেওয়া বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কবে থেকে কত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্মিলিত মানবিক সহায়তার অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা বাংলাদেশসহ ওই অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে কাজ করছি। যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবনকে নতুনভাবে গড়তে পারে।’

রোহিঙ্গাদের প্রতি মার্কিন সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ও বার্মার (মিয়ানমার) জনগণকে তাদের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের জন্য প্রচেষ্টা, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি এবং বার্মার সব ব্যক্তির মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের গণহত্যার বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ও বার্মার জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে এবং নির্যাতিত ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে যে মামলাটি গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বার্মার বিরুদ্ধে এনেছে এবং বার্মিজ সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা অপরাধের বিচারের জন্য বিশ্বজুড়ে আস্থাভাজন যেসব আদালতের বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে তাদের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানানো আমরা অব্যাহত রাখছি।’
বিগত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। সর্বাত্মক চেষ্টা করেও গত পাঁচ বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে পারেনি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *