Main Menu

নদীতে ঝাঁপ দিল ধর্ষক! অতপর…

নিউজ ডেস্ক:
নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা হলো না ধর্ষক পুলিশের। পরে ট্রলারের সাহায্যে মাঝনদী থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বরিশালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জেলা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার তরুণী ওই পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে আটক করে। অভিযোগকারী অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে শেবাচিমের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) রাখা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার আমড়াঝুরি এলাকার আলম শিকদারের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল কাওছার হোসেন। তিনি বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত। গেল জানুয়ারি মাস থেকে স্ত্রী এবং এক সন্তান নিয়ে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের আলেকান্দা বুকভিলার গলির এক ভাড়া বাসায় থাকেন। একই বাসায় থাকার সুবাদে বাদী তাসনুভা হোসেন মাহার (১৯) সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তার এক বন্ধুর সঙ্গে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। পরে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিক্টিম অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় চিকিৎসক।

এ ঘটনা জানার পর থেকে ভিক্টিমের কাছ থেকে পুলিশ সদস্য কাওছার পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আজ দুপুরে তাকে ৩০ গোডাউন এলাকায় দেখতে পেয়ে সে ট্রিপল নাইনে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে ট্রলারের সাহায্যে মাঝনদী থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিমুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কাওছার হোসেন নামে জেলা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করে তাসনুভা হোসেন মাহা নামে এক তরুণী গতকাল রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাওছার তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত কাওছারকে আদালতে হাজির করা হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *