Main Menu

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্মৃতিবিজড়িত ইন্দ্রানী দিঘী ‘উদ্ধারে’ সিসিক

নিউজ ডেস্ক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সিলেট নগরীর ইন্দ্রানী দিঘী পরিচ্ছন্ন করতে অভিযান শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। দিঘীটি বর্তমানে কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনায় ভরপুর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এটি পরিচ্ছন্ন করতে শুরু করে সিসিক।

সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের তেররতন এলাকার সৈদানীবাগে ৮০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ইন্দ্রানী দিঘী পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছে সিটি করপোরেশন। স্থানীয়ভাবে এটি ‘হিন্দুয়ানি দিঘী’ নামে পরিচিত। দিঘীটিতে বর্তমানে কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছে সিসিক। ওই দিঘীতে গোসল করাসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ১ আগস্ট তেররতন এলাকায় একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন। তিনি ওই দিন ইন্দ্রানী দিঘী পরিদর্শন করে এর বেহাল দশা দেখে সেটি পরিচ্ছন্ন করার পরামর্শ দেন সিসিক কর্তৃপক্ষকে। এসময় স্থানীয়রা দিঘীটি উদ্ধার করে ধোপাদিঘীর মতো নান্দনিক করে গড়ে তুলতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর সহধর্মিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তবে সিসিক সূত্র জানিয়েছে, ইন্দ্রানী দিঘীর কিছু অংশ নিয়ে স্থানীয় দুজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে। তাই মঙ্গলবার এটি পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন সিসিক কর্মীরা। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে সক্ষম হয় সিসিক।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ইন্দ্রানী দিঘীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই তাঁর নির্দেশে এটি পরিচ্ছন্ন করতে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে কর্মী পাঠায় সিসিক। কিন্তু ওই দিঘীর কিছু অংশ নিয়ে স্থানীয় দুজনের মধ্যে মামলা চলছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। দুপক্ষই প্রথমকে সিসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বাধা দেয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করতে সক্ষম হয় সিসিক।

তিনি বলেন- মালিকানা যারই হোক, দিঘীটির অবস্থা বেহাল। কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। তাই এমনিতেই এটি পরিচ্ছন্ন করা সিসিকের দায়িত্ব। ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও জলাশয় কচুরিপানা কিংবা ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ভরে রাখার সুযোগ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে নূর আজিজুর রহমান বলেন, এটি ধোপাদিঘীর মতো নান্দনিক করা হবে কি না- এটি এখনই বলা যাচ্ছে না। এর কিছু অংশ নিয়ে মামলা চলছে। তাই এটি নিয়ে আপাতত সিসিকের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।

এদিকে, স্থানীয়দের বক্তব্য- ইন্দ্রানী দিঘীটি ৮০০ বছরের পুরনো। স্থানীয় লোকজন এটিতে গোসল করাসহ বিভিন্ন জিনিস ধোয়ার কাজ করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু ৩-৪ বছর আগে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এর কিছু অংশ জবরদখল করে নিয়েছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও বিচারাধীন। তবে এটি সিটি করপোরেশন উদ্ধার করে ধোপাদিঘীর মতো নান্দনিক রূপ দিতে পারলে পরিবেশের সুরক্ষাসহ ভ্রমণপিপাসুদের বেড়ানো এবং যান্ত্রিক নগরের বাসিন্দারা একটু দম ফেলার ফুরসত পেতেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *