Main Menu

এক মাসে ২২০০ বাংলাদেশির ইউরোপে আশ্রয় আবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট:
গত মে মাসে ‘ইইউ প্লাস’ দেশগুলোতে ৭০ হাজারের বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে। যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ৷ এদিকে অভিবাসীদের আশ্রয় ব্যবস্থাপনা ও ফেরত পাঠানোর জন্য পাঁচটি দেশকে ১৭ কোটি ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷

ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইউএএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে বিভিন্ন দেশের ৭০ হাজার ২০০ জন অভিবাসী, শরণার্থী ‘ইইউ প্লাস’ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন) দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন৷

২০১৬ সালের পর এক মাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়ার রেকর্ড৷ তালিকায় সবার উপরে আছে আফগানিস্তানের নাগরিকেরা৷ দেশটির আট হাজার ৭৩৫ জন আবেদন করেছেন মে মাসে৷ এরপর রয়েছে সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা, পাকিস্তান, কলম্বিয়া, তুরস্ক ও জর্জিয়ার নাগরিক৷

আশ্রয় আবেদনের দিক থেকে বাংলাদেশিরা আছেন অষ্টম অবস্থানে৷ গত মে মাসে দুই হাজার ১৬৮ জন বাংলাদেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন৷ গত বছর বাংলাদেশিরা আশ্রয় আবেদনের দিক থেকে ছিলেন ষষ্ঠ অবস্থানে৷

প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ২০২১ সালে আশ্রয় আবেদন করেছেন৷ ২০১৪ সাল থেকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর থেকে যা বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ আবেদনের রেকর্ড ছিল৷ ঐ বছর ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছিল৷

এদিকে ২০২২ সালের মে মাসে ইইউ প্লাস দেশগুলোতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আশ্রয় আবেদন গ্রহণের হার ছিল ৪৫ শতাংশ, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ৷ তবে সবদেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই হার সমান নয়৷ ইউত্রেনীয়, সিরিয়ানদের ৯৭ ও ৯৬ শতাংশ আবেদনই যেখানে গৃহীত হয়েছে সেখানে আফগানদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশ৷

সব মিলিয়ে মে পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি অভিবাসী তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন৷

আশ্রয় ও ফেরত পাঠাতে বড় অঙ্কের তহবিল

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র রিপাবলিক অব সাইপ্রাস৷ সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের হার বাড়ায় ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংকটে পড়েছে দেশটি৷ অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে৷ ২০২১ সালের শেষে এসে প্রায় ১৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল৷ এমন পরিস্থিতি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত চাপ৷ এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছেও এ নিয়ে সহায়তার আবেদন জানিয়ে আসছিল নিকোসিয়া৷

অবশেষে সেই আবেদনে সাড়া মিলেছে৷ বন্দর নগরী লার্নাকার মেনোইয়াতে একটি আশ্রয়প্রার্থী ও ফেরত যাওয়াদের একটি কেন্দ্র স্থাপনের তহবিল মিলেছে ইউরোপীয় কমিশনের কাছ থেকে৷

অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে স্পেনও৷ সিউটা ও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আগত আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হবে এই অর্থ দিয়ে৷ দেশটিও সমুদ্র পেরিয়ে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে৷ চলতি বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত ক্যানারি দ্বীপগুলোতে নয় হাজার ৬৭০ জন পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি৷

সব মিলিয়ে সাইপ্রাস, স্পেন, গ্রিস, ইটালি ও পোল্যান্ডের জন্য মোট ১৭ কোটি ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ এসব দেশে অনিয়মিতভাবে আসা অভিবাসীদের প্রাথমিক আশ্রয় ও ফেরত পাঠানোর কাজে এই অর্থ ব্যয় করা হবে৷ ইউরোপীয় কমিশনের আশ্রয়প্রার্থী, অভিবাসী ও ইন্টেগ্রেশন বা অন্তর্ভুক্তিকরণের ৯৯০ কোটি ইউরোর তহবিল (এএমআইএফ) থেকে এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ সূত্র: ইনফোমাইগ্রান্টস।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *