Main Menu

মৌলভীবাজারে সিএনজি পাম্পে যানবাহনের দীর্ঘ সারি

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
মৌলভীবাজার জেলার ৯ টি সিএনজি পাম্পের মধ্যে ৪ টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। পাম্পের জন্য নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হওয়ায় তিনটি ও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য একটি সিএনজি পাম্প বন্ধ রয়েছে।

জেলায় মোট ৯টি সিএনজি পাম্পের মধ্যে ৪ টি বন্ধ থাকায় চাপ বাড়ছে অন্যান্য সচল সিএনজি পাম্পগুলোতে। চালু থাকা সিএনজি পাম্পগুলোর সামনে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

মৌলভীবাজার শহরতলির ইসলামপুর হাজী ইকবাল সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সরেজমিন সোমবার ( ২৫ জুলাই) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সিএনজি ফিলিং স্টেশনটির সামন থেকে প্রধান সড়ক এবং মনু নদী সেচ প্রকল্পের পাকা সড়কে সারি বেঁধে অপেক্ষমাণ পাঁচ শতাধিক সিএনজি চালিত গাড়ি।

সেখানে কথা হয় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ভোর চারটায় লাইনে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর এখন দুপুর ১ টায় গ্যাস পেয়েছি। বিরক্তি লাগলেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, কারণ গ্যাস ছাড়া তো আর গাড়ি চলবে না।

আরেক অটোরিকশা চালক নেওয়াজ মিয়া বলেন, ৭ ঘন্টা অপেক্ষা করেও গ্যাস না পাওয়াতে আমি বিরক্ত হয়ে চলে এসেছি। এভাবে রাত জেগে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করে দিনে আবার গাড়ি চালানো সম্ভব না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের নির্ধারিত বরাদ্দ শেষ হওয়ায় মৌলভীবাজারের কুসুমবাগের মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান ফিলিং স্টেশন, শমসেরনগর সড়কের এমএফ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং রাজনগর উপজেলার ডেলটা সিএনজি গ্যাস স্টেশনে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেড। যানবাহনে সিএনজি গ্যাস ভরতে না পেয়ে তীব্র জ্বালানি সংকটে পড়েছে মৌলভীবাজারে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন।

গত কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজার ও রাজনগর উপজেলায় প্রধান তিনটি সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় এই অবস্থার তৈরি হয়েছে। জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চলতি মাসের গ্যাস বরাদ্দের পরিমাণ শেষ হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৮ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তিনটি স্টেশনেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেড৷

অন্যদিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জেলার সখিনা সিএনজি পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *