Main Menu

মাদরাসা-এতিমখানার ১০ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করলো সিসিক

নিউজ ডেস্ক:
প্রতি ঈদুল আযহায় সিলেটে কওমি মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ঈদের দিন বিকেলে সংগ্রহ করা চামড়া নিয়ে দামে ধস নামায় তা বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েকটি ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে সিলেটে হাজার হাজার পিস পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে এবং নদীতে ফেলে দিতে হয়েছে। এ অবস্থায় এবারের ঈদুল আযহার দিন সিলেটের মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর সংগ্রহ করা চামড়া সাময়িক সময়ের জন্য লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। সিসিকের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগে অনেকটা স্বস্তিতে ছিলেন সিলেটের কওমি মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ।

তাই এবার সিলেটের মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর ১০ হাজার পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য সিসিকের জমা পড়েছে। তথ্যটি জানিয়েছেন সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান।

তিনি জানান, ঈদের দিন বেশ কিছু মাদরাসা ও এতিমখানার পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সংগ্রহকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে ক্রেতা জোগাড় করে তারা চামড়াগুলো নিয়ে যাবেন। ১০ হাজার পিসের অধিক চামড়া সিসিকের কাছে জমা পড়েছে। দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে এগুলো সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হানিফুর রহমান জানান, সিলেট নগরী ছাড়াও জেলার কিছু বড় মাদরাসা আমাদের কাছে চামড়া সংরক্ষণের জন্য দিয়েছে। এর মধ্যে রেঙ্গা মাদরাসা একটি। পশুর চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় লবণযুক্ত করে তা সংরক্ষণ করছে সিসিক। এরপর তা যথাযথ বাজার মূল্যে বিক্রি করে তালিকা অনুযায়ী নিজ নিজ মাদরাসা ও এতিমখানায় পৌঁছে দেওয়া হবে টাকা। অথবা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজেরাও বিক্রি করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সিসিককে শুধু পরিবহন খরচ দিতে হবে। তবে সংরক্ষণের জন্য কোনো ধরনের ফি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে না।

এ বিষয়ে সিসিক জানায়- ঈদের আগে মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে সিটি করপোরেশন মতবিনিময় সভা করেছে। সিটি করপোরেশনের এমন উদ্যোগে সংশ্লিষ্টরা খুবই খুশি হন। ঈদের মাদরাসাগুলো কোরবানির চমড়া সংগ্রহ করে সিসিকের নির্ধারিত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেয়। পরে সিটি করপোরেশনের ট্রাক নির্দিষ্ট মাদরাসা বা এতিমখানায় গিয়ে চামড়া নিয়ে আসে। সিসিকের শ্রমিকসহ এ কাজে অভিজ্ঞ শ্রমিকরা যথাযথ নিয়মে চামড়াগুলো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *