Main Menu

পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেতে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার। লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে পদত্যাগ করতেই বাধ্য হলেন তিনি।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করায় এখন প্রধানমন্ত্রিত্বও থাকবে না বরিস জনসনের। তবে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাদের একের পর এক পদত্যাগের পর দেশটির সরকারে কার্যত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়া জনসন বৃহস্পতিবার এই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে তিনি বলেছেন, নতুন নেতা খোঁজার প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত এবং আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে কাজ করার দিন তারিখ ঠিক করা হবে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে জনসন বলেন, ‘দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করা উচিত। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী সময়ে একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ নিয়োগ করা হবে। আজ থেকেই এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব আমি।’

নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিজ দলের মন্ত্রী এবং সদস্যদের তোপের মুখে পড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যে পদত্যাগ করছেন, তা বুধবারই চাউর হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সংবাদমাধ্যমে। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছিল, শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন বরিস জনসন।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতার পদ থেকেও তিনি অব্যাহতি নেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পদত্যাগের ঘোষণায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে আর থাকতে না পারার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন বরিস জনসন। নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে কনজারভেটিভ পার্টিতে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *