ভারতের আদালতে সম্পত্তির উৎস জানাতে পারেননি পি কে হালদার
বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ছয় জনকে শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত ৭ জুন তাদের পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যাঙ্কশাল আদালতের আইনজীবী জানান, এই আর্থিক জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে অনেক তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। পি কে হালদার তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী ছিল তা জানাতে পারেননি। ৭ জুন তাদের ফের আদালতে তোলা হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, ভারতে মোট ১৩টি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট, বোট হাউজ এবং একাধিক জমি রয়েছে পি কে হালদারের।
এছাড়াও তার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে ১৩টি কোম্পানি জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। যারা কলকাতা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার।
গত ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। মঙ্গলবার (১৭ মে) তার বিরুদ্ধে আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কলকাতার একটি আদালত।
হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার। একপর্যায়ে নাম পাল্টে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পি কে হালদার নিজেকে শিবশঙ্কর হালদার নামে ভারতে পরিচয় দিতেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ডও সংগ্রহ করেন। তার অন্য সহযোগীরাও ভারতীয় এসব কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে সংগ্রহ করেন।
Related News
আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে কাতারের প্রতি আহ্বান
আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে কাতারের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশি আরো দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী নিতেRead More
প্রবাসীদের জন্য আসছে নতুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
প্রবাসীদের জন্য আসছে নতুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার আওতায় একটি অনলাইন ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্ল্যাটফর্ম’Read More