Main Menu

সিন্ডিকেটের বদলে সকল শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

নিউজ ডেস্ক:
সিন্ডিকেটের বদলে সবাইকে সমান সুযোগ দিয়ে স্বচ্ছ এবং নিরাপদ অভিবাসনের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ। একই সাথে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে অতীতের ১০ সিন্ডিকেটের ন্যায় পুনরায় ২৫ সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা বন্ধ করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সী সমূহের জন্য সকল শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণের জোর দাবি জানিয়েছে পরিষদ। এসব দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পরিষদের নেতারা।

সোমবার (২৩ মে) রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান ও মহাসচিব আরিফুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক স্মারকলিতে এ দাবি করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে পূর্বের ন্যায় এবারও প্রস্তাবিত ২৫ টি সিন্ডিকেট বাস্তবায়িত হলে দেশের সুনাম নষ্ট, শ্রমবাজারে অস্থিরতা ও অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মী প্রেরণে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা থাকবে না। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করা হলে বিশে^ বাংলাদেশ সরকার ও উক্ত সেক্টরের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট হবে।

এজেন্সির নেতৃবৃন্দ বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি প্রায় সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পর আপনার নির্দেশনায় ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি সামঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের খবর সবাইকে আশাবাদী করেছিল। কিন্তু উভয় দেশের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ধারা পাশ কাটিয়ে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান গত ১৪ জানুয়ারি ২৫ টি রিক্রুটিং এজেন্সীর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের একটি প্রস্তাব আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কাছে প্রেরণ করেন।

মালয়েশিয়া মানব সম্পদ মন্ত্রীর দেয়া ওই চিঠির প্রতিউত্তরে প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আইএলও এর সনদ এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ এর বরাত দিয়ে ১৮ জানুয়ারি চিঠিতে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সিকে কাজ দিতে পারে না। বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী বৈধ লাইসেন্সধারী সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সমান সুযোগ দিতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বচ্ছ অনিয়মমুক্ত এবং নিরাপদ অভিবাসন চায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া ঠিক করার জন্য দুই দেশের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের প্রস্তাবও দিয়েছেন।

২০১৮ সালে হাহকোর্ট মালয়েশিয়া অভিবাসন সেক্টরে কোন প্রকার সিন্ডিকেট করা যাবে না মর্মে রায় প্রদান করেন। পিটিশন নং ১৩২৮৭।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হবে না মর্মে জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন এবং বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে শত শত বার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান ক্লিয়ার করার পরেও বর্তমান সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে অতীতের ১০ সিন্ডিকেটের মূল খলনায়কেরা পুনরায় ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ।

বিগত দশ সিন্ডিকেটের দরুণ সকল এজেন্সি শুধু মালয়েশিয়াতে লোক পাঠায় তারা বঞ্চিত হয়েছে। সিন্ডিকেট করে কর্মী পাঠালে অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি, সর্বোপরি মন্ত্রণালয়ের ইমেজ, বায়রার ইমেজ, এই সেক্টরের ইমেজ এমনকি সরকারের ইমেজ ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হবে। দেশীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট হবে।

মধ্যসত্বভোগী পরিহার করে সরাসরি ডাটা ব্যাংক থেকে লোক নিয়োগ করলে কম খরচে মালয়েশিয়া (সিন্ডিকেট মুক্ত) কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব। এতে রেমিট্যান্স আয় বাড়বে। নেপালের ১৬০০ রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়াতে কর্মী প্রেরণ করার জন্য রয়েছে।

ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা , ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়াসহ সকল দেশ সিন্ডিকেট মুক্তভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের সকল রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়াতে কর্মী প্রেরণ করে থাকে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ব্যতীত অন্যান্য ১৩ টি সোর্স কান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটবিহীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগের বিপরীতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ অমর্যাদাকর। অন্যান্য দেশ থেকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা তার পছন্দসই রিক্রুটিং এজেন্সীকে বেছে নেয়ায় কর্মী প্রেরণের অভিবাসন ব্যয় অনেক কম হয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *