Main Menu

দুই বছর পর খুলল স্পেন-মরক্কোর সীমান্ত, অভিবাসীদের উচ্ছ্বাস

নিউজ ডেস্ক:
কোভিড -১৯ মহামারি ও অভিবাসন সংকটের কারণে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর উন্মুক্ত করা হয়েছে মরক্কো-স্পেন সীমান্ত। সোমবার (১৬ মে) স্থানীয় সময় রাত আটটার পরপরই মরক্কো ও স্পেন ভূখণ্ডকে পৃথককারী ছিটমহল সেউটা এবং মেলিলার সীমান্ত গেট খুলে দেওয়া হয়। সেউটা এবং মেলিলা আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র স্থল সীমানা।

অভিবাসন সংকট নিয়ে দেশদুটির মধ্যে কূটনৈতিক উত্তজনার ফলে বন্ধ ছিল সীমান্ত। খবর এএফপির।

এএফপির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, সীমান্ত খোলার পর উভয় দিক থেকে অপেক্ষারত কয়েক ডজন গাড়ি এবং পথচারী ছুটে এসেছিলেন। স্প্যানিশ ছিটমহল সেউটার কাছে অবস্থিত ফনিডেক সীমান্ত চৌকিতে কর্মরত আন্তঃসীমান্ত কর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। স্থল সীমান্ত আবারও চালু হওয়ায় স্পেনে বসবাসরত মরক্কান অভিবাসীরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

এদিকে স্পেনে বসবাসরত মরোক্কোর নাগরিক নুরুদ্দিন জানান,‘সীমান্ত না খোলায় আমি সেউটাতে প্রায় দুই বছর আটকে ছিলাম। এখন দেশে ফিরতে পেরে খুব খুশি আমি।’

তবে স্থল সীমান্ত চালু হলেও এখানে শুধুমাত্র শেনজেনভুক্ত দেশগুলোর নাগরিক ও বৈধ অভিবাসীরাই প্রবেশ করতে পারবেন। যে সব মরক্কোর নাগরিক সীমান্ত এলাকায় বসবাস করেন এবং যাদের স্পেনের দুটি ছিটমহলে প্রবেশের জন্য ভিসা লাগে না তাদেরকে ৩১ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

দুই বছর ধরে মরক্কো ও স্পেন সীমান্ত বন্ধের ফলে সেখানে কর্মরত হাজার হাজার অভিবাসী কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। দুই অঞ্চলের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার ফলে এই আয়ের উপর নির্ভরকারী মরক্কোর অনেক নাগরিক অনিয়মিত অভিবাসনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

সেউটা এবং মেলিলা আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র স্থল সীমানা। কিন্তু এর ফলে সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য কোনো অতিরিক্ত সুবিধা নেই। কারণ এই পথ দিয়ে অনিয়মিতভাবে স্পেনের মাটিতে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।

অনিয়মিত অভিবাসীরা নিয়মিত দুই অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ছিটমহলগুলিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। চলতি বছরের মার্চের শুরুতে এক হাজার আশ্রয়প্রার্থী মেলিলায় প্রবেশের চেষ্টা করলেও মরক্কোর সীমান্ত বাহিনীর বাধায় সেটি ভেস্তে যায়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *