Main Menu

মসজিদ কমিটিতে পদ না পেয়ে খতিব ও সাংবাদিককে মারধর

নিউজ ডেস্ক:
টেকনাফে মসজিদ কমিটিতে পদ না পেয়ে খতিবকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মারধরের ভিডিওধারণ করায় সাইদুল ফরহাদ নামে এক সাংবাদিককেও মারধর করেছে।

গতকাল সোমবার (২ মে) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আল মাদরাসাতুল মুহিউচ্ছুন্নাহ মসজিদে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী মসজিদের খতিব ওই মাদরাসার পরিচালকেরও দায়িত্ব পালন করছেন।

মারধরের শিকার খতিব জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয় আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি প্রতিদিন মসজিদের এসে তাকে হেয় করে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। কিন্তু তিনি মসজিদ কমিটির কেউ নয়।

তিনি আরও বলেন, রোজায় তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে ফয়সাল নামে এক হাফেজকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে আবু তৈয়ব ক্ষিপ্ত ছিলেন আমার ওপর।

এছাড়াও শুরু থেকে আবু তৈয়ব হাফেজ ফয়সালকে বিভিন্ন ধরনের কটাক্ষ করে কথাবার্তা বলেন। হাফেজ ফয়সাল বিষয়টি তাকে (জসিম উদ্দিন) অবগত করলে তিনি মসজিদ কমিটিকে অবগত করেন। পরে মসজিদ কমিটি আবু তৈয়বকে সর্তক করায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার মাগরিবের নামাজ শেষে মাদরাসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে (জসিম উদ্দিন) মারধর করে।

উনছিপ্রাং মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মুহিউচ্ছুন্নাহ মসজিদেও মুতুয়াল্লি (দাতা সদস্য) রুহুল আমিন বলেন, আবু তৈয়ব দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটিতে পদের জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। সর্বশেষ মসজিদ কমিটির পদ না পেয়ে মসজিদের দায়িত্বরত খতিব ও পরিচালক জসিম উদ্দিনকে শত শত মুসল্লীর সামনে তার অফিস থেকে গলা ধরে বের করে মারধর করেন।

খতিব জসিম উদ্দিনকে মারধরের ঘটনার সময় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা সংবাদকর্মী সাইদুল ফরহাদ ভিডিওধারণ করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। সাইদুল ফরহাদ ঢাকা পোস্টের কক্সবাজার প্রতিনিধি।

আবু তৈয়বের নেতৃতে আকতার হোসেন, মোহাম্মদ নূর, রমজান আলী, মুফিজুর রহমান, মৌলভী ছৈয়দসহ বেশ কয়েকজন ওই সংবাদকর্মীকে মারধর করে। এসময় সংবাদকর্মী ফরহাদের কাছে থাকা দুটি মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী জমিল উদ্দিন জমিরা বলেন, আবু তৈয়ব ও একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ওই মসজিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত কাল ইফতারের পর মসজিদের খতিবকে আবু তৈয়ব মারধর করেন। এটি আমাদের মুসলিমদের জন্য খুবই লজ্জাজনক।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারি বলেন, মাগরিবের নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনেছি।

টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) খোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। আমরা আসামিদের চিহ্নিত করে অভিযান পরিচলনা করছি।

এ ঘটনায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। সূত্র: ঢাকা পোস্ট






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *