Main Menu

অভিবাসীদের প্রাণের মূল্য নেই গ্রিস-তুরস্ক সীমান্তে, উদ্ধার ৩৪

নিউজ ডেস্ক:
গ্রিস এবং তুরস্কের মাঝে একটি ছোট দ্বীপে আটকে থাকা ৩৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যালার্ম ফোন’ গত শুক্রবার এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা৷ এই মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, গ্রিস এবং তুরস্ক সীমান্তে অভিবাসীদের প্রাণের কোনো মূল্য নেই৷

উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসীর বরাত দিয়ে অ্যালার্ম ফোন জানিয়েছে, টানা দুই দিন প্রবল শীতের মাঝে ইভরো নদীর কাছে একটি দ্বীপে আটকে ছিলেন ৩৪ জন অভিবাসী৷ দ্বীপে আটকে থাকা অভিবাসীরা গত সপ্তাহে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন৷

অভিবাসীরা জানিয়েছিলেন, তাদের খাবার প্রায় ফুরিয়ে এসেছে৷ বেশ কয়েকজন শিশু, বৃদ্ধ এবং একজন অন্তঃসত্ত্বাও তাদের সঙ্গে রয়েছেন একথা জানিয়ে সাহায্য চান তারা। পরে গ্রিক সেনাদের তরফে তাদের ভয় দেখিয়ে তুরস্কে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়।

এরপর গ্রিসের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যালার্ম ফোন, সীমান্ত সহিংসতা নজরদারি সংস্থা (বিভিএমএন) এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর)৷

অভিবাসীরা জানিয়েছিলেন, সেনা নজরদারি ছাড়াও ড্রোনেও তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছিল৷ কিন্তু কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি৷ এরপর ইউরোপের মানবাধিকার আদালত (ইসিটিএইচআর)-কে বিভিএমএন পরিস্থিতির বিষয়ে জানায়৷ এরপর জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় আদালত৷

আদালতের নির্দেশনা পেয়ে অ্যালার্ম ফোনের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করেন।

মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, উদ্ধার হওয়া এসব আশ্রয়প্রার্থী অনেকেই অসুস্থ৷ তারা যাতে দ্রুত সেরে ওঠেন, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত এগোবে বলেই আশা করা হচ্ছে৷

‘পুশব্যাক’ চলছেই

অ্যালার্ম ফোনের পক্ষ থেকে লরেন্স বলেন ‘‘নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে পুশব্যাকই যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ গত দুই বছরে একাধিক সহিংসতার ঘটনাও যেন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’ সীমান্ত এলাকায় সেনা টহলদারি চলে৷ এটা সামরিক এলাকা৷ কেউ তো কিছু দেখতে পায় না, কী হচ্ছে না হচ্ছে৷

গত ফেব্রুয়ারিতে লাইটহাউস রিপোর্ট আশ্রয়প্রার্থীদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর নতুন কৌশলের কথা জানিয়েছিল৷ তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রিক সীমান্তরক্ষীরা আশ্রয়প্রার্থীদের জাহাজে তুলে ছোট ছোট দলে সমুদ্রে ছেড়ে দেয়, যাতে তারা সাঁতার কেটে তুরস্কে ফেরত যেতে বাধ্য হয়৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *