Main Menu

ফ্রান্স-ব্রিটেনে মানবপাচারে সহায়তা, ২৪ ইরাকি নাগরিকের কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক:
ফ্রান্স ও ব্রিটেনে মানবপাচাররে সহায়তা করার দায়ে ২৪ ইরাকি কুর্দি নাগরিককে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছে উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের শহর রেনের আদালত। একই সাথে দণ্ডপ্রাপ্তদের উপর ফ্রান্সে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে৷

মানবপাচারের অভিযোগে এসব ইরাকি নাগরিকের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছর ধরে চলা দীর্ঘ তদন্ত কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত ১০ মার্চ থেকে আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাণ্ড দেওয়া হয়৷ একই সাথে সাজা ভোগের পর দণ্ডপ্রাপ্তদের উপর ফ্রান্সে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে আদালত জানায়৷

আদালতে শুনানি চলাকালে ২৪ অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জন করোনা মহামারিজনিত স্বাস্থ্যবিধির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। তারা কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আদালতের রায় শুনছিলেন।

এছাড়া রেনের আদালত সম্প্রতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে উত্তর ফ্রান্স থেক সার্থ শহরে সংগঠিত একটি মানবপাচারের মামলায় পলাতক সাত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা এসব অভিযুক্তদের খুঁজে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে ফরাসি পুলিশ।

ইরাক থেকে কুর্দিদের পরিচালিত একটি বড় মানবপাচার নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে ভারি ট্রাক অথবা লরিযোগে অভিবাসীদের পাচারে সহায়তা করত বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তবে রেনের আদালত অভিযুক্তদেরকে সরাসরি পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেনি। তাদেরকে অভিবাসীদের একত্রিত করা, অনুমতি ছাড়া ফ্রান্স ও ইউরোপে অবস্থান করাসহ পাচারে বিভিন্নভাবে সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সংঘবদ্ধ পাচার নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বছর ধরে সাঁড়াশি অভিযান এবং একের পর এক রায় দিচ্ছে ফরাসি আদালত। অনেক ক্ষেত্রে এসব মামলায় এখন আগের চেয়ে বেশ দ্রুত রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।

ইউরোপজুড়ে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে সামনে রাখার কথা বারবার বলে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। এরই ধারাবিহকতায় আসন্ন ফরাসি নির্বাচনেও ইশতেহারে একই প্রস্তাবনা রেখেছেন বর্তমান ফরাসী প্রেসিডেন্ট।

 






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *