Main Menu

সুইডেন সীমান্তে আবার পরিচয়পত্র পরীক্ষা শুরু

নিউজ ডেস্ক:
ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ায় প্রতিবেশী দেশগুলো হয়ে সুইডেনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সড়ক ও নৌপথে আবারও পরিচয়পত্র পরীক্ষার নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷ মঙ্গলবার এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার৷

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শরণার্থী হয়েছেন দেশটির বিপুল সংখ্যক মানুষ৷ জাতিসংঘের হিসাবে ৩০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন দেশে৷ তাদের একটি বড় অংশ সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, মলদোভাতে রয়েছেন৷ অনেকে সেখান থেকে পশ্চিম ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতেও পাড়ি জমাচ্ছেন৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একে ইউরোপের জন্য সবচেয়ে বড় ও দ্রুত বেড়ে চলা শরণার্থী সংকট হিসেবে অভিহিত করেছে সুইডেনের সরকার৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই দেশটি আবারও বাস, ট্রেন ও নৌপথে আশেপাশের দেশ থেকে আগত যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে৷ সংসদে পাস হওয়ার পর এই সংক্রান্ত নতুন আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সুইডিশ সরকার৷

এর আগে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী সংকট শুরুর সময়ও একই উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার৷ সীমিত সময়ের জন্য পাস করা আইন অনুযায়ী পরিবহণ কোম্পানিগুলোর জন্য তখন যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়৷ আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তীতে নিয়মটি তুলে দেয়া হয়৷ ইউক্রেনে শরণার্থী বেড়ে চলায় আবারও এমন আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে সুইডিশ সরকার৷

প্রস্তাব অনুযায়ী, ৮ এপ্রিল থেকে নিয়মটি চালুর কথা রয়েছে৷ তবে নরওয়ে থেকে আগতদের জন্য এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশ সুইডেনের সঙ্গে নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের স্থলসীমান্ত রয়েছে৷ ডেনমার্কের সঙ্গে জল সীমানা থাকলেও রয়েছে রেল যোগাযোগও৷ এছাড়া পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া বা জার্মানি থেকে বাল্টিক সমুদ্র পেরিয়েও সুইডেনে যাতায়াত করা যায়৷ নতুন নিয়ম কার্যকর হলে এসব দেশ থেকে বাস, ট্রেন বা জাহাজে যাতায়াতকারীদের এখন বাধ্যতামূলকভাবে পরিচয়পত্র বা দেশটিতে ঢুকার অনুমতিপত্র দেখাতে হবে৷

এদিকে ইউক্রেনের অনেক শরণার্থী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান আরেক দেশ ডেনমার্কে যাওয়ারও চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু যথাযথ কাগজ না থাকার কারণে অনেককে ঢুকতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ৷ ডেনিশ রেডিও স্টেশন ডিআর জানিয়েছে, বায়োম্যাট্রিক পাসপোর্ট না থাকার কারণে জার্মানির সঙ্গে সীমান্ত থেকে প্রতিদিনই ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটছে৷ তাদের অনেকে মূলত ডেনমার্ক হয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে চান৷

পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ডিআর জানিয়েছে, দৈনিক ১০ থেকে ২০ জন শরণার্থীকে আটকাচ্ছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ৷ সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটারে এই সংক্রান্ত একটি ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট আছে এমন ইউক্রেনীয় নাগরিকরা সবাই বাধাহীনভাবে ডেনমার্কে প্রবেশ করতে পারবেন৷’’

বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট থাকা বিপুল ইউক্রেনীয় শরণার্থী প্রতিদিনই ডেনমার্কে প্রবেশ করছেন৷ বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, তাদেরকে ৯০ দিন থাকার অনুমতি দিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ৷

বুধবার ডেনিশ পার্লামেন্টে নতুন একটি আইন পাশ হওয়ার কথা রয়েছে, যার মাধ্যমে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সাময়িক রেসিডেন্স পারমিট বা বসবাসের অনুমতি পাবেন৷ দেশটির সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই আইনের ফলে সাধারণ পাসপোর্ট (বায়োমেট্রিক নয়) দেখিয়েও বসবাসের অনুমতি পাওয়া যাবে৷ পাশাপাশি ট্রানজিট বা বহির্গমণের জন্যেও তারা ডেনমার্কে ঢুকতে পারবেন৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *