Main Menu

যে ৬টি আমল করলে দ্বীন মেনে চলা সহজ হবে

মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.) :
প্রতিটি ইবাদত উপকারী। আর সব পাপকাজ নিতান্ত ক্ষতিকর। তার পরও মৌলিক কিছু আমল আছে, যেগুলো করা বা পরিহার করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হলে অন্যান্য আমল সংরক্ষণ ও বিশুদ্ধকরণ সহজ হয়ে যায়।

নিম্নে এমন কিছু আমলের আলোচনা তুলে ধরা হলো—

এক. ধর্মীয় জ্ঞানার্জন ও চর্চা

ইলামে দ্বিন বা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা। হোক সেটা কিতাব পড়ে বা আলেমদের সান্নিধ্যে থেকে। বরং কিতাব পড়ে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করার পরও আলেমদের সান্নিধ্যে থাকা জরুরি।

দুই. আলেমদের সান্নিধ্য গ্রহণ

আলেম দ্বারা এমন আলেম উদ্দেশ্য যারা জ্ঞান অনুযায়ী আমল করে। যাদের মধ্যে শরিয়ত ও হাকিকতের সমন্বয় ঘটেছে। সুন্নতের ওপর সুদৃঢ়, মধ্যপন্থী এবং অতিরঞ্জন ও অতিশৈথিল্য থেকে দূরে থাকে। আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি স্নেহপরায়ণ। যাদের মধ্যে হঠকারিতা ও গোঁয়ার্তুমি নেই। এককথায় যাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিম্নোক্ত বাণীর প্রতিফলন দেখা যায়—‘আমার উম্মতের একটি দল সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। যারা তাদের পরিত্যাগ করবে তারা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৩১১)

তিন. নামাজ আদায় সময়মতো

যেকোনো পরিস্থিতিতে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। যতদূর সম্ভব জামাআতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করবে। অপারগ হলে যেভাবে সম্ভব সেভাবে নামাজ পড়ে নেবে। এতে আল্লাহর দরবারের সঙ্গে একটি সম্পর্ক ও যোগসূত্র প্রতিষ্ঠিত থাকবে। নামাজের বরকতে ইনশাআল্লাহ নামাজির দোষ-ত্রুটি সংশোধিত হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ যাবতীয় অশ্লীল ও অসত্কর্ম থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)

চার. কম কথা বলা

মানুষের সঙ্গে কম কথা বলা ও কম মেলামেশা করা। যা কিছু বলার চিন্তা-ভাবনা করে বলা। শত-সহস্র বিপদ থেকে নিরাপদ থাকার একটি উত্তম উপায় এটি।

পাঁচ. মুরাকাবা- মুহাসাবা বা আত্মপর্যালোচনা

বেশির ভাগ সময় এ খেয়াল রাখা যে আমি আমার মালিকের সামনে অবস্থান করছি। আমার সব কথা, কাজ ও অবস্থা তিনি দেখছেন। এটি হলো মুরাকাবা। আর মুহাসাবা হলো কোনো একটি সময়—যেমন ঘুমানোর আগে একাকী বসে সারা দিনের কাজের কথা স্মরণ করে এরূপ ধারণা করবে যে এখন আমার হিসাব হচ্ছে, কিন্তু আমি উত্তর দিতে পারছি না।

ছয়. তাওবা-ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা

যখনই কোনো ভুল হয়ে যাবে বিলম্ব না করে, কোনো জিনিসের অপেক্ষা না করে নির্জন স্থানে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে খুব মাফ চাওয়া। কান্না এলে কান্না করা। তা না হলে কান্নার ভান করা। এই সহজ বিষয়গুলোর প্রতি যত্নশীল হলে আল্লাহর দরবারে আশা করা যায় যে তিনি অন্যান্য আমল সহজ করে দেবেন।

অনুবাদ করেছেন : মো. আব্দুল মাজেদ মোল্লা






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *