ইউক্রেন থেকে কানাডায় যাচ্ছে শরণার্থী
নিউজ ডেস্ক:
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের শরণার্থীরা কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ৩ মার্চ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ ঘোষণা দেন। তারপর কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘কানাডা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার সমর্থনে অটল রয়েছে। ইউক্রেনীয় অভিবাসীরা কানাডাকে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে এবং আমরা আমাদের দেশের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে ইউক্রেনের সাহসী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
১৮৯৬ সাল থেকে শুরু করে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত কানাডাতে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসী ইউক্রেন থেকে কানাডাতে আসে। সে সময় থেকে তারা কানাডার প্রেইরি অঞ্চল অর্থাৎ আলবার্টা, সাস্কাচুয়ান ও ম্যানিটোবা প্রদেশে বসবাস করেন। ইউক্রেনের অভিবাসীদের হাত ধরে কানাডার কৃষির বিস্তার ঘটে।
ইউক্রেন থেকে যে যেভাবে আসতে চায় কানাডা তাদের সেভাবে নিয়ে আসবে। মূলত চারভাবে আসতে পারবে তারা। এগুলো হচ্ছে যারা একেবারে চলে আসতে চায়, তাদের পারমানেন্ট রেসিডেন্স দিয়ে আনা হবে, কেউ যদি যুদ্ধের সময় এসে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশে ফিরে যাবে, তাদের শুধু ওয়ার্কপারমিট দিয়ে আনা হবে। তা ছাড়া যেকোনো শিক্ষার্থী ইউক্রেন থেকে কানাডায় পড়তে আসতে পারবেন, আর যারা শুধু ভিসিট ভিসায় কানাডায় আসতে চান, তাদেরও নিয়ে আসা হবে।
কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্বমন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেন, ‘কানাডায় আমরা যে গণতান্ত্রিক আদর্শকে লালন করি, তা সমর্থন করার জন্য ইউক্রেনীয়রা যে সাহস দেখিয়েছে, তাতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। যখন তারা ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যয়বহুল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করবে, তখন আমরা তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেব, যারা নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে রক্ষা করতে পালিয়েছে।
কানাডিয়ানরা তাদের প্রয়োজনের সময়ে ইউক্রেনীয়দের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা তাদের উন্মুক্ত অস্ত্র দিয়েও স্বাগত জানাব।
Related News
বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মন্ট্রিয়লের হ্যাপি নিউ ইয়ার উদযাপন কমিটির জরুরি সভা
বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মন্ট্রিয়লের হ্যাপি নিউ ইয়ার উদযাপন কমিটির জরুরি সভা ‘বিদেশি সংস্কৃতির অবসান এবংRead More
মিশিগানে সৈয়দপুর কমিউনিটির আত্মপ্রকাশ, ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
মিশিগানে সৈয়দপুর কমিউনিটির আত্মপ্রকাশ, ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা সৈয়দ শিব্বির আহমেদকে সভাপতি ও সৈয়দ ইয়াহিয়াকেRead More