Main Menu

গ্রিসের লেসবোস উপকূলে ৬ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক:
গ্রিক দ্বীপ লেসবোসের উপকূল থেকে ছয় অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী৷ ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের কারণে এসব অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে গ্রিক দ্বীপ লেসবোসের একটি উপকূল থেকে ছয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

গ্রিসের লেসবোস বন্দর পুলিশ জানিয়েছে, নৌকাডুবির কারণে এই প্রাণহানি ঘটতে পারে৷ সেটি ধরে নিয়ে সম্ভাব্য আরো অভিবাসীদের খোঁজে উপকূলে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে৷

গ্রিক উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কেন্দ্র মিটিলিন বন্দর থেকে এক কিলোমিটার দূরে আনো স্কালার সমুদ্র সৈকতে এক পথচারী চারটি মরদেহ দেখতে পান৷ পরবর্তীতে এসব মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালালে আরও দুই জন অভিবাসীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়৷

উদ্ধারকৃতদের কেউই লাইফ জ্যাকেট পরিহিত ছিলেন না৷ তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দ্বীপের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে৷

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বন্দর পুলিশের তিনটি টহল নৌকা এবং একটি হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে অংশ নিচ্ছে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নৌকা বা ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি৷

লেসবোস দ্বীপটি ২০১৫-২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল৷ সিরিয়া এবং ইরাক যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা হাজারো মানুষ তুরস্ক থেকে এই দ্বীপ হয়ে পশ্চিম ইউরোপে প্রবেশ করেছিলেন৷

এদিকে সাম্প্রতিক বছরে, ইইউ বহিঃসীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের সহায়তায়, গ্রিস কর্তৃপক্ষ এজিয়ান সাগরের উত্তর-পশ্চিমে থাকা দ্বীপগুলিতে অভিবাসী আগমন সীমিত করেছে৷ মানবাধিকার ও অধিকারকর্মীরা সমুদ্রে নিয়মিতভাবে পুশব্যাকের নিন্দা জানিয়ে আসছে৷

নরওয়েজিয়ান এনজিও এজিয়ান বোটের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ৬২৯টি অবৈধ পুশব্যাকের ঘটনা ঘটেছে, যার অর্ধেকের বেশি ছিল লেসবোস ও সামোস দ্বীপে৷

এদিকে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত নয়জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উপকূলরক্ষীরা মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেছে যখন নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনসহ আরও নয়জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *