Main Menu

সীমান্ত নজরদারিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে ইইউ

নিউজ ডেস্ক:
ইইউ বহিঃ ও অভ্যন্তরীণ সীমান্তে ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে চলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনী দায়িত্ব এড়াতে প্রায়ই ট্র্যাকিং বা নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

চলমান অভিবাসন প্রবাহের প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সীমান্তে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলো। ফেব্রুয়ারিতে, উত্তর ফ্রান্সের ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দিয়েছিল ফরাসি সরকার। ক্যামেরাগুলি ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে স্থাপন করা হবে বলে জানায় ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে, ইটালীয় অনুসন্ধানী ম্যাগাজিন আলত্রেকোনোমিয়ার ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভূমধ্যসাগর জুড়ে অভিবাসন প্রবাহ রুখতে লিবিয়ায় নজরদারি সরঞ্জামের একটি নতুন চালান সরবরাহ করে ইটালীয় নৌবাহিনীপ্রতিবেদনে বলা হয়, “গাড়ি এবং লোকেদের গতিবিধি-নিরীক্ষণ করতে ক্যামেরা ও অন্যান্য বিশেষ যন্ত্রগুলি বলকান রুটের ইতালি এবং স্লোভেনিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে।”

কি কারণে ইউরোপ এবং তার আশেপাশে ডিজিটাল প্রযুক্তির এবং পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম ব্যবহৃত হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে ইইউ বহিঃসীমান্ত সংস্থা ‘ফ্রন্টেক্স’ ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানায়, “ইইউ বহিঃসীমানাকে প্রসারিত করে অনিয়মিত অভিবাসন এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপের ধরণ এবং প্রবণতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। সাধারণ ও পরিস্থিতিগত উভয় ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ন।

ফ্রন্টেক্স আরও জানায়, “প্রতিটি সীমান্তে ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং মনিটরিং সিস্টেমগুলি সদস্য রাষ্ট্রগুলির দায়িত্বে থাকে। তাদের অভিযানের প্রয়োজন এবং সীমানার প্রকারের উপর নির্ভর করে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার পরিবর্তিত হয়৷ যেমন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কেউ কেউ স্থল সীমান্ত বরাবর ক্যামেরা ব্যবহার করছে৷ আর অন্যরা সমুদ্রে টহল বিমানের সাহায্যে নজরদারি করে৷”

আকাশপথে নজরদারি
ফ্রন্টেক্স নিশ্চিত করেছে, “ইউরোসুর নামক বিশেষ দপ্তরের অধীনে থাকা পরিষেবাগুলির একটি যৌথ তথ্য-বিনিময় কাঠামো ইউরোপের বহিঃসীমান্ত পরিচালনার উন্নতির জন্য তৈরী করা হয়েছে।”

ফ্রন্টেক্স আরও জানায়, “এই পর্যবেক্ষণের বেশিরভাগই আকাশ পথে নজরদারিরতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে চালকসহ এবং চালকবিহীন বিমান, স্যাটেলাইট চিত্র এবং জিপিএস সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রে জাহাজ ও নৌকার অবস্থান সংগ্রহ করা হয়।“এটি তথ্যের আদান-প্রদান বাড়ায় এবং পরিস্থিতিগত সচেতনতা বৃদ্ধি করে। যার সাহয্যে পরিকল্পনা ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হয়”, ব্যাখা করে ফ্রন্টেক্স।

তবে শুধু ফ্রন্টেক্স নয়, লন্ডন-ভিত্তিক সংস্থা প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের ২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনিউ উঠে এসেছে, কীভাবে কয়েকটি কোম্পানি ট্র্যাকিং করতে সক্ষম এমন স্যাটেলাইট স্থাপন করে সীমান্ত সংস্থাগুলোর কাছে তাদের তথ্য বিক্রি করছে।

প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, “এই ধরনের নজরদারি জীবন বাঁচাতে পারে। পাশপাশি , এটি আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিচারেও ব্যবহার করা হতে পারে।”

দায়িত্ব এড়ানো
ইটালীয় অনুসন্ধানী ম্যাগাজিন আলত্রেকোনোমিয়াকে সাক্ষাৎকার দেয়া বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, ‘সীমান্তে ট্র্যাকিং প্রযুক্তি প্রায়শই আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনি দায়িত্ব এড়াতে মোতায়েন করা হচ্ছে।উদাহরণ স্বরূপ, ইটালীয় কোম্পানিগুলো নজরদারির প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার সরবরাহ করে আসছে। যার সাহয্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লিবিয়ার কোস্ট গার্ড হাজার হাজার অভিবাসীকে লিবিয়ায় ফেরত নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। মূলত, এসব প্রযুক্তির সাহায্যে অভিবাসীদের ইটালীয় বা মাল্টা জলসীমায় প্রবেশের আগেই তাদের অবস্থান খুঁজে বের করে ফিরিয়ে নিয়ে আসা আলত্রেকোনোমিয়া জানায়, ২০২১ সালে ৩২,০০০ এরও বেশি অভিবাসীকে এইভাবে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে মোট ১,৫০০০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। যা ২০২০ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। মনিটরিং প্রযুক্তি বৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি ঘটতে পারে।

ভ্রাম্যমাণ মনিটরিং ইউনিট
ইটালীয় কোম্পানিগুলি সর্বাধুনিক নজরদারি এবং ট্র্যাকিং প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ “কন্টেইনার” তৈরি করতে ব্যস্ত। এসব কন্টেইনার লিবিয়ার একটি কেন্দ্র থেকে পরিচালিত স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। এই মোবাইল ট্র্যাকিং কন্টেইনারগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে, লিবিয়ান সেন্টার ফর কোঅর্ডিনেশন অফ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ (এমআরসিসি)।এসব ভ্রাম্যমাণ কন্টেইনার একটি সাধারন ট্রাকের পিছনের অংশে বসিয়ে দেয়া যায়।

আলত্রেকোনোমিয়ার তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনা অনুযায়ী সার্চ এবং রেসকিউ স্টেশনটি একটি মিটিং রুম, একটি রাডার অপারেটর এবং একটি টয়লেট সহ কমপক্ষে চারটি মনিটরিং পয়েন্টের মাধ্যমে সজ্জিত। রাডারগুলো এইভাবে মোবাইল মনিটরিং স্টেশনগুলির সাথে সংযোগ করে কাজ করে। এরকম একটি ইতিমধ্যেই লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি আবু সিত্তাতে স্থাপন করা হয়েছে।

ইটালীয় কোম্পানিগুলি লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের জন্য তিনটি নতুন স্পিড বোটও তৈরি করছে, যা শীঘ্রই সরবরাহ করা হবে। এছাড়া আরেকটি স্পিড বোট আধুনিকীকরণ করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে লিবিয়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বলকান রুটে ফ্রন্টেক্স
আলত্রেকোনোমিয়ার সাংবাদিক লুকা রন্ডির মতে, ইইউ এর সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স তথাকথিত বলকান রুটেও নতুন নজরদারি ব্যবস্থার চেষ্টা করছে। ২০২১ সালে এই রুটে ৬০ হাজারেরও বেশি অনিয়মিত সীমান্ত পারাপার রেকর্ড করা হয়েছিল।

ইউরোডক সূত্রে জানা গেছে, ফ্রন্টেক্স থ্রিডি আঙ্গুলের ছাপ, সেইসাথে চোখ এবং মুখাবয়ব শনাক্তকরণ প্রযুক্তি সহ বায়োমেট্রিক ডেটাতে বিনিয়োগ করে বলে জানা গেছে। এই ধরনের ডেটা ইতিমধ্যেই ইইউ-এর বায়োমেট্রিক ডাটাবেস সিস্টেমে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য প্রবেশ করানো হচ্ছে।

ফ্রন্টেক্স সবসময় বলে থাকে, এটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলির সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় একটি পৃথক সহায়ক ভূমিকা প্রদান করে। ফ্রন্টেক্সের মূল কাজের মধ্যে অন্যতম হল, টহল গাড়ি, নজরদারি আলো ও ভারী সরঞ্জাম, আঙ্গুলের ছাপ মেশিন ইত্যাদি কেনার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করা।”২০২১ সালের মে মাসে সংস্থাটি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এটি বুলগেরিয়া – তুরস্ক সীমান্ত এবং জিব্রাল্টারে যুক্তরাজ্যের সাথে স্পেনের সীমান্তে একটি ডিজিটাল সীমান্ত ব্যবস্থা স্থাপনের চেষ্টা করছে। এ্র সাহায্যে ইইএস সিস্টেমে ইইউ-এর বাইরের দেশগুলি থেকে আসা ভ্রমণকারীদের নিবন্ধন করা হবে।

স্বল্পকালীন শেঙ্গেন ভিসা এবং ভিসা ছাড়া ভ্রমণে সক্ষম ব্যক্তিদের প্রতিবার ইইউ বহিঃ সীমান্ত অতিক্রম করার সময়ে নজরদারি করা হবে। এটি মৌলিক অধিকার এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন মেনে ভ্রমণকারীর নাম, ভ্রমণ নথি, বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙুলের ছাপ এবং মুখের ছবি) নিবন্ধন করবে।ফ্রন্টেক্স এবং ইইউ অর্থায়নের মাধ্যমে বসনিয়া হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া এবং মন্টিনিগ্রোর মতো দেশগুলো ইউরোডকের এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামোগুলিতে কাজ করছে। যাতে করে তারাও ভবিষ্যতে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মূল কাঠামোতে তথ্য প্রদান করতে পারে।

ইটালীয়-স্লোভেনিয়ান সীমান্ত
এসব প্রযুক্তির বেশিরভাগই যে আলোচনায় আছে এমন নয়। এগুলোর অনেকগুলো ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। । ২০১৯ সালে ফ্রন্টেক্স বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় বায়োমেট্রিক ডেটা রেকর্ড করার জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এই নিবন্ধন কাজ আগামী বছর বলকান অঞ্চলজুড়ে সংস্থাটি পরিকল্পনার মধ্যে একটি। ইটালীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর জুরিডিকাল স্টাডিজ অন ইমিগ্রেশন (এএসজিআই)-এর একজন আইনজীবী ক্যাটেরিনা বোভ, ইটালি-স্লোভেনিয়ান সীমান্তে কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন।

তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অনলাইন বিতর্কে, কীভাবে উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা ফাদেঁর মাধ্যমে গাড়ি এবং মানুষ উভয়কেই শনাক্ত করতে সক্ষম এমন প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে তার রূপরেখা দিয়েছিলেন।

বোভ ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং অন্যান্য আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই সীমান্তে অবৈধ পুশব্যাকের শিকার হওয়া হাজার হাজার অভিবাসীর পক্ষে মামলা লড়েছেন। ক্যামেরার পাশাপাশি, ইটালীয় পুলিশ স্লোভেনিয়ান অঞ্চলে কাজ করার সময় স্লোভেনিয়ান কর্তৃপক্ষের সমর্থক হিসেবে কাজ করে থাকে।

বোভ আরও বলেন, “স্লোভেনিয়ায় কাজ করার সময় ইটালীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রকৃত নির্বাহী ক্ষমতা থাকে না। এই কারণে, তাদের কার্যক্রমগুলি ইটালীয় আইনিব্যবস্থা দ্বারা এত সহজে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় না, কারণ তারা তাদের নিজের দেশের বাইরে কাজ করছে।”

স্বচ্ছতার অভাব
ইটালির ঘটনায় এএসজিআই-এর আরেক সদস্য জিয়ানফ্রাঙ্কো শিয়াভোন বলেন, যখনই তারা ইটালীয় কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, তখনই তারা একটি অস্পষ্ট উত্তর দিয়ে যে কোনও প্রচেষ্টাকে আড়াল করে দিয়েছেন। এটি স্বচ্ছতার পথে বড় বাধা।প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই ফ্রন্টেক্স এবং ইউকে বর্ডার ফোর্স সহ অন্যান্য সীমান্ত সংস্থাগুলিকে স্যাটেলাইট ফোন এবং অন্যান্য সংকেত ট্র্যাক করতে সক্ষম স্যাটেলাইট সরবরাহ করছে৷

প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল আরও জানায়, ২০১৯ সালে ফ্রন্টেক্স সমুদ্র পরিস্থিতিগত সচেতনতার জন্য একটি স্যাটেলাইট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইমিটার সনাক্তকরণের জন্য দেড় মিলিয়ন ইউরোর বেশি মূল্যের একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে।

অস্ত্র এবং ট্র্যাকিং প্রযুক্তি
চুক্তিটি মার্কিন কোম্পানি হকআই৩৬০ কে দেওয়া হয়েছিল। প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের মতে, হকআই৩৬০ বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। তাদের উপদেষ্টারা প্রায়ই মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চ-স্তরের সদস্য।

আলত্রেকোনোমিয়ার-এর তদন্তে দেখা গেছে এসব প্রযুক্তি নির্মাণে জড়িত কিছু ইটালীয় কোম্পানিরও অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন?
প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল আশঙ্কা করছে, উন্নত প্রযুক্তির সংকেতগুলির মাধ্যমে শুধুমাত্র অভিবাসীদের জীবন রক্ষা করে না পাশপাশি এটি অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরে আসাকেও প্রভাবিত করতে পারে। এইভাবে ইইউ সীমান্তে প্রকৃত অভিবাসী আগমনের সংখ্যা হ্রাস করতে পারে। এই লিখিত গোপনীয়তার ফলে ইটালির মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি তাদের আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে উদেশ্যে সপাদন করতে সক্ষম হয়।

কাউন্সিল অফ ইউরোপের মানবাধিকার কমিশনার, দুনজা মিজাটোভিক ২০২১ সালের প্রতিবেদনে ঘোষণা করেন, “বিমান, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য লিবিয়া সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করা হচ্ছে।”

তিনি বলেছিলেন, “এই তথ্যগুলি বিশেষত আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক ও মানবাধিকার আইনের বিপরীত। এর ফলে অনিরাপদ বন্দরে লিবিয়ান কোস্ট গার্ড দ্বারা আরও বাধা এবং প্রত্যাবর্তন সহায়ক হয়ে উঠে।”

জার্মান গ্রিন পার্টির এমইপি ওজেলেম ডেমিরেল, ডিসেম্বরে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেছিলেন, “তিনি ড্রোন ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন কারন এটি অভিবাসনকে একটি নিরাপত্তা সমস্যায় পরিণত করছে।”

তার মতে, “ইইউ সর্বদা মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধের কথা বলে, লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে আমরা দেখছি সীমান্তে আরও বেশি লোক মারা যাচ্ছে এবং আমাদের প্রশ্ন করতে হবে যে ইইউ তার মূল্যবোধগুলি ভঙ্গ করছে কি না।” সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *