Main Menu

ইইউ সীমান্তে দমন ও শারীরিক সহিংসতা স্বাভাবিক ঘটনা: ইউএনএইচসিআর

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ইউরোপের বিভিন্ন সীমান্তে অভিবাসী, শরণার্থীদের উপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)৷

গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন সীমান্তে অভিবাসী ও শরণার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন ইউএনএইচসিআর এর কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি৷

২১ ফেব্রুয়ারি দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘বারবার বন্ধের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও ইউরোপের বিভিন্ন স্থল ও জল সীমান্তে অনবরত সহিংসতা, নিগ্রহ এবং পুশব্যাকের (জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো) খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সীমান্তে দমন ও শারীরিক সহিংসতা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে।

ইউরোপের দেশগুলোর এমন এমন আচরণের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের তৎপরতাকে আইনত ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। অবিলম্বে এসব বন্ধের আহ্বান জানান তিনি৷

‘নিষ্ঠুরভাবে ফেরত পাঠানো হয়’

সাম্প্রতিক সময়ে গ্রিসের বিরুদ্ধে অভিবাসী, শরণার্থীদের একের পর এক ‘অবৈধভাবে’ ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠছে৷ চলতি মাসে গ্রিক সীমান্ত থেকে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে তুরস্ক৷ দেশটির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে গ্রিসের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের নির্যাতন করে পোশাক রেখে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে৷ এতে তীব্র ঠাণ্ডায় মারা যান তারা৷

এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘সীমান্তগুলোতে প্রায়শই ভয়ংকর সব আচরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে, মানুষের জামাকাপড় খুলে রেখে বৈরি আবহাওয়ায় নিষ্ঠুরভাবে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হচ্ছে৷’

ইউএনএইচসিআর ২০২০ সালের শুরু থেকে গ্রিসের অঘোষিত ৫৪০টি জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ঘটনা নথিভুক্ত করেছে৷ অপরদিকে, বেসরকারি সংস্থা এজিয়ান রিপোর্ট বোট শুধু ২০২১ সালে এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ৬২৯টি অবৈধ পুশব্যাকের ঘটনা রেকর্ড করেছে।

বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় মিডিয়া গত সেপ্টেম্বরে সামোস দ্বীপে আসা তিনজনকে জোরপূর্বক ফেরত ঘটনার অনুন্ধান করে গত সপ্তাহে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রিক কোস্টগার্ড তাদেরকে ডিঙ্গি নৌকা ও লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই মারধর করে সমুদ্রে ফেলে দেয়৷ তাদের মধ্যে পরবর্তীতে দুইজন পানিতে ডুবে মারা যান৷ একই ধরনের ঘটনায় জানুয়ারির শেষ দিকে নিখোঁজ হন আরেকজন৷ যদিও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বা সীমান্তে অভিবাসীদের নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে গ্রিস৷

শুধু গ্রিসই নয়, মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের সীমান্তেও অভিবাসী, শরণার্থীদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউএনএইচসিআর কমিশনার৷ হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি৷ সূত্র: ইনফোমাইগ্রান্টস






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *