Main Menu

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ: ৫দিনে ১ লাখ ১১ হাজার আবেদন

নিউজ ডেস্ক:
বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য নিয়োগকর্তাদের থেকে আবেদন জমা পড়েছে মালয়েশিয়ার মন্ত্রণালয়ে। মাত্র ৫ দিনে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১০৭টি। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান সোমবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে আবেদন চালু করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়েছে।

দাতুক সেরি এম সারাভানান জানান, আবেদনগুলোর মধ্যে ৭৭ হাজার ৮৪৮টি আবেদন উৎপাদন খাতের শ্রমিকদের জন্য, ১৩ হাজার ১১৯টি বৃক্ষরোপণ খাতে, ১০ হাজার ৬১১টি পরিষেবা খাতে, ৮ হাজার ৫৩০টি নির্মাণ খাতে এবং ১হাজার ৬৯৯টি কৃষি খাতে।

এছাড়া বিশেষ ও অতিরিক্ত কোটাসহ এই সংখ্যা দেড় লাখের মতো বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে যখন আবেদনটি খোলা হয়েছিল তখন কিছু নিয়োগকর্তার অনলাইনে আবেদন করতে সমস্যা হয়েছিল। প্রথম মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) বাস্তবায়নের পর ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বিদেশী কর্মীদের আবেদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। উচ্চ সংখ্যক আবেদনের কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী এম সারাভানান।

তিনি আরো বলেন, নিয়োগকর্তাদেরও বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংস্থা (এপিএস) এর মাধ্যমে আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যা আগে শুধুমাত্র গৃহকর্মীর জন্য আবেদনের জন্য অনুমোদিত ছিল। সম্প্রতি নিয়োগকর্তা এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলির সাথে একটি বৈঠকের সময় সমস্যাগুলি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং তারা এই উদ্দেশ্যে এপিএস-এর পরিষেবাগুলি ব্যবহার করেছে।

মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এপিএস নিয়োগকর্তাদের পক্ষ থেকে আবেদন করতে পারেন এই শর্তে যে, আবেদনগুলি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তাদের অনুমতি নিয়ে জমা দেওয়া হবে।

এদিকে গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর সারাভানান বলেছিলেন- মালয়েশিয়া কয়েকটি সেক্টরে শ্রমিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। যেমন- বৃক্ষরোপণ, উৎপাদন ও উন্নয়ন এবং কৃষি খাত।

এর আগে দেশটির সরকার ঘোষণা করেছিল, অবশ্যই বিদেশী কর্মীদের প্রবেশের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে চলতে হবে। যা ১৪ ডিসেম্বর ২০২১-এ কোভিড -১৯ কোয়ার্টেট মিনিস্টার মিটিং দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল।

এদিকে গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য খুলতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রায় ৪০ মাস পর সোর্স কান্ট্রি (কর্মী পাঠানো দেশ) হিসেবে আবারো যুক্ত হলো বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তুতিও শেষের দিকে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কারিগরি বিষয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্মীদের দেশটিতে যেতে খরচ বা অভিবাসন ব্যয় কত হবে, ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন করা প্রয়োজন কিনা আর প্রয়োজন হলে কবে থেকে চালু হবে, বাংলাদেশে একটি অনলাইন পদ্ধতি চালু করা এবং মালয়েশিয়া সরকারের কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সাথে এই পদ্ধতি কিভাবে যুক্ত হবে, এমন নানা বিষয়ে আলোচনা ও কাজ করছে মন্ত্রণালয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *