Main Menu

বিপিএলে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা কুমিল্লার

নিউজ ডেস্ক:
নাটকীয় এক জয়ের ফলে বিপিএলের আট আসরে তৃতীয়বার শিরোপার স্বাদ পেল কুমিল্লা। ম্যাচের শেষ অংশটুকু বাদ দিলে পুরো ম্যাচই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে বরিশাল। তবে ওই যে প্রচলিত কথায় যে আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। শেষটাই তো ভালো করতে পারলো না ফরচুন বরিশাল। শেষ ১৮ বলে ১৮, শেষ ওভারে ১০ এবং শেষ বলে ৩ রানও যে করতে পারলো না তারা। দিন শেষে শিরোপার হাসি ইমরুল কায়েসের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।

ম্যাড়মেড়ে এক আসরের ফাইনালটাই হলো সবচেয়ে নাটকীয়! শিরোপা নির্ধারণ হলো সম্ভাব্য সবচেয়ে ছোট ব্যবধানে। বিপিএল ২০২২ এর ফাইনাল দেখে হয়তো পুরো টুর্নামেন্ট পানসে হওয়ার ক্ষোভ ভুলেছেন ক্রিকেট ভক্তরা।

যে কেউ জিততে পারে, এমন ফাইনাল ম্যাচে স্নায়ুচাপ সামলে অসাধারণ এক জয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

মাঝারি স্কোর ডিফেন্ড করে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় পিছিয়ে থাকার পরও শেষ দিকে বোলারদের নৈপূণ্যে ইমরুল কায়েস বাহিনী শিরোপা নিশ্চিত করে।

অষ্টম বিপিএলের ফাইনালে তারা ১ রানে হারায় ফরচুন বরিশালকে। এর আগে ২০১৫-১৬ এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা।

মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুনিম শাহরিয়ারকে হারিয়ে বড় রকমের ধাক্কা খায় বরিশাল। কিন্তু সেই ধাক্কাকে চাপে পরিণত হতে দেননি সৈকত আলি। চার ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে।

ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ক্রিস গেইল। অপরপ্রান্তে ঝড় তুলে ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাগিয়ে নেন সৈকত।

৩৪ বলে ৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তানভীর ইসলামের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা দিয়ে সাজঘরে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন গেইল।

বেশিদূর যেতে পারেননি ক্যারিবিয়ান তারকা। ৩১ বলে ৩৩ করে সুনিল নারাইনের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে মাঠ ছাড়েন তিনি।

হতাশাকে সঙ্গী করে ৭ রানে সাজঘরে ফিরে আসেন সাকিব আল হাসানও। রান আউট হয়ে আক্ষেপটা আরও বাড়িয়ে দেন নুরুল হাসান সোহান।

বরিশাল অবশ্য ততক্ষণে জয়ের সুবাস পাওয়া শুরু করে দিয়েছে। হুট করেই যেন ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। স্কোরবোর্ডে তিন রান যোগ করতে একে একে আউট হন ডোয়েইন ব্রাভো ও নাজমুল হাসান শান্ত।

মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে বরিশালের মুখ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আনে কুমিল্লা। শেষ দুই ওভারে যখন ১৬ রান দরকার তখন ১৯ তম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে প্রমাণ করেন কেন তিনি টি-টোয়েন্টির ডেথ ওভারে বিশ্বসেরা।

শেষ ওভারে বরিশালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রান। সেই ওভারে ১০ রান নিতে সক্ষম হয় বরিশাল। আর তাতে ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মুস্তাফিজ ১ উইকেট নেন। নারাইন ও তানভীর ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন।

এর আগে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হন সুনিল নারাইন। বরিশালের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ২১ বলে তুলে নেন চলতি বিপিএলের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। গড়েন বিপিএল ফাইনালে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড।

ওপেনিংয়ে নারাইনের সঙ্গী লিটন এই ম্যাচেও থিতু হতে পারেননি উইকেটে। সাকিবের প্রথম ওভারে বোল্ড হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৬৯ রানে নারাইন ২৩ বলে ৫৭ করে মাঠ ছাড়লে বদলে যায় কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপের চেহারা। বরিশালের বোলারদের তোপে মড়ক লাগে কুমিল্লা শিবিরে।

৮ রানে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। চার রানে ফাফ ডু প্লেসিকে আটকে দেন মুজিব-উর-রেহমান। আর ইমরুল কায়েসকে ফিরতে হয় ১২ রান করে। ফলে ৯৫ রান তুলতে ৬ উইকেট নেই ভিকটোরিয়ানসের।

এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেন মঈন আলি। সঙ্গে নেন আবু হায়দার রনিকে। দুজনের জুটিতে ভর করে লড়াকু সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লা। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন মঈন। বড় শট খেলতে গিয়ে ১৯ রানেই থামেন রনিও।

শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানেই থেমে যায় কুমিল্লার ইনিংস।

বরিশালের হয়ে দুটি উইকেট নেন মুজিব ও শফিকুল ইসলাম। একটি করে উইকেট যায় সাকিব, ব্রাভো ও মেহেদি হাসান রানার ঝুলিতে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *