ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, শাবিতে শিক্ষার্থী আটক

নিউজ ডেস্ক:
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রক্সি দিয়ে ২০২০-২০২১ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি। আটক শিক্ষার্থীর নাম ইকবাল হোসেন সাঈদ।
পরবর্তীতে তাকে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাশেদ নামে একজন সাঈদের হয়ে প্রক্সি দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ৩৫১৭৬৩। পরবর্তীতে প্রক্সি পরীক্ষার ফলাফলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যান ইকবাল হোসেন সাঈদ। শাবিপ্রবিতে মানবিক বিভাগে তার মেধাক্রম ছিল ৭৫৮। মঙ্গলবার বি ইউনিটের ভর্তির স্বাক্ষাৎকার দিতে আসলে সন্দেহ থেকে সাঈদকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটি। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে পুলিশে সোপার্দ করা হয়। আটককৃত এ শিক্ষার্থী কক্সবাজার চকোরিয়ার সবুজবাগ গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ভর্তি কমিটি সদস্য সচিব চৌধুরী আবদুল্লাহ আল হোসাইনি জানান, মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বি ইউনিটের সাক্ষাৎকার দিতে আসে ইকবাল হোসেন সাঈদ। ভর্তি প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে ইকবাল হোসেন সাঈদের স্বাক্ষরের সাথে উত্তরপত্রের স্বাক্ষরের কোনো মিল না পাওয়ায় তাকে প্রথমে সন্দেহ করা হয়। এরপর তার হাতের লেখার সাথে উত্তরপত্রের লেখারও কোনো মিল পায় নি ভর্তি কমিটি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ইউসুফ চৌধুরী ভবনের ২য় তলার ১ নম্বর রুমে তার আসন পড়লেও তা বলতে পারে নি ইকবাল। পরে উত্তরপত্রে দাগানো নির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত নম্বরও বলতে পারেনি সে। দেড় ঘন্টা জিঙ্গাসাবাদের পর জালিয়াতির কথা স্বীকার করে এবং ভর্তি পরীক্ষা দেয়নি বলে জানায় সে। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোর্পদ করি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতি চক্রের একটি সূত্রের ব্যাপারে জানিয়েছে আটক হওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন সাঈদ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার নিজের রোল নম্বর ব্যবহার করে রাশেদ নামের অপর একজন তার পরীক্ষাটি দিয়ে দেয়। তবে প্রক্সি দেওয়া সেই রাশেদকে চিনে না সে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিয়ে আসা আতিকুর রহমান নামে ইকবালের এক বন্ধু জালিয়াত চক্রের বিষয়ে তাকে সন্ধান দেয়। আতিকুরের বড় ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত শহিদুল ইসলাম জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত। আতিকুর রহমান তাকে জানায় জালিয়াতি চক্রের সাথে শহিদুলের যোগাযোগ রয়েছে এবং টাকার বিনিময়ে সে জালিয়াতি চক্র ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিবে, এমন কথায় চকোরিয়া ব্রাঞ্চে আতিকুর রহমানের ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক একাউন্টে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা হস্তান্তর করে ইকবাল। তবে ইকবাল জালিয়াতি চক্রের কাউকে চিনে না বলে দাবি করেন।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার বাদি হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল।
Related News

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২৩ বস্তা টাকা
নিউজ ডেস্ক; কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলোতে জমা হয়েছে ২৩ বস্তা টাকা। একইসঙ্গে পাওয়া গেছেRead More

কাউন্সিলরশূন্য সিসিক’র ৭নং ওয়ার্ড : দু’জনই জেল হাজতে
নিউজ ডেস্ক: কাউন্সিলরশূন্য হয়ে পড়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৭নং ওয়ার্ড। বর্তমান ও নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিRead More