সাগরে সাত বাংলাদেশির মৃত্যু: শনাক্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করবে ইতালি
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছাতে গিয়ে ঠান্ডায় মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদের পরিচয় শনাক্ত করছে ইতালি কর্তৃপক্ষ৷ তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এরইমধ্যে তাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত করেছে৷
ইতালি কর্তৃপক্ষ বুধবারের মধ্যেই মারা যাওয়া সাতজনের পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছেন আগ্রিগেন্তোর প্রশাসক৷
২৫ জানুয়ারি ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছে এই অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাটির সন্ধান পায় পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ৷ সমুদ্রে নৌকা থেকে তাদেরকে উদ্ধারের সময়ই তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়৷ ইতালি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, অভিবাসীদের উদ্ধারকারী নৌযান লাম্পেদুসার উপকূলে পৌঁছানোর আগেই মারা যান আরো চারজন৷ অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাটিতে আরো ২৮০ জন ছিলেন, যাদের বেশিরভাগ বাংলাদেশ ও মিশর থেকে এসেছেন৷
বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুরোধ
শনাক্ত প্রক্রিয়ার জন্য শনিবার সাতজনের মরদেহ আনা হয় সিসিলিয়ান শহর আগ্রিগেন্তোর পিয়ানো গাট্টা নামক স্থানে৷ মরদেহগুলো বাংলাদেশে ফেরত নিতেই বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইতালির প্রতি পরিচয় শনাক্তের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হয়৷ আগ্রিগেন্তো প্রশাসন ও ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে মরদেহগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে৷
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে শনিবার নিহত সাতজনের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো৷ তারা হলেন: মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, একই উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের জয় তালুকদার, ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল ও সদর উপজেলার বাপ্পী, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাজ্জাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাইফুল৷
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দূতাবাস কর্মকর্তারা বেঁচে থাকা অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে মৃতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়েছেন৷
অপ্রয়োজনীয় পরিণতি
রোববার পিয়ানো গাট্টা সমাধিস্থলে মরদেহগুলো আনা হয়৷ সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আগ্রিগেন্তোর মেয়র ফ্রাঙ্কো মিসিচে৷ তিনি বলেন, ‘‘আজ রাতে আমরা এই সাতটি ছেলের মরদেহ গ্রহণ করছি যাদের বিরাট আশা ছিল, কিন্তু নিষ্ফলভাবে তার ইতি ঘটেছে৷’’
আরো বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসক হিসেবে এই যাত্রায় তাদের পরিণতি ও হতাশার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারি৷ আজকে একজন মেয়র হিসাবে আমি এই গরিব হতাভাগা মানুষগুলোকে গ্রহণ করছি,’’ সমাধিস্থলে শনাক্ত প্রক্রিয়ার জন্য মরদেহগুলোকে আনার পর তিনি এই বক্তব্য দেন৷ এ সময় তিনি মরদেহ বহনকারী কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানান ফ্রাঙ্কো৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসক হিসেবে এই যাত্রায় তাদের পরিণতি ও হতাশার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারি৷ আজকে একজন মেয়র হিসাবে আমি এই গরিব হতাভাগা মানুষগুলোকে গ্রহণ করছি,’’ সমাধিস্থলে শনাক্ত প্রক্রিয়ার জন্য মরদেহগুলোকে আনার পর তিনি এই বক্তব্য দেন৷ এ সময় তিনি মরদেহ বহনকারী কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানান ফ্রাঙ্কো৷
আগ্রিগেন্তোর প্রশাসক মারিয়া রিতা ককিউফা জানান, বাংলাদেশ এরইমধ্যে অভিবাসীদের মরদেহগুলো ফিরিয়ে নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ তিন তারিখের মধ্যে শনাক্তের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তিনি৷ সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
Related News
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ দ. কোরিয়া
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ দ. কোরিয়া শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেRead More
সেনাবাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে: সেনাপ্রধান ঢাকা: জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশRead More