প্রতিদিন যে ৬ আমল করলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে
শায়খ মাহমুদুল হাসান:
একজন মুমিনের দৈনন্দিনের জীবনে কিছু আমল নিয়মিত হওয়া উচিত। কারণ, প্রত্যেকটি মানুষকে একদিন মৃত্যু বরণ করতে হবে। মৃত্যু থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। অতএব প্রতিদিন যদি ওই আমলগুলো করা হয়, তাহলে যেদিন মৃত্যু হবে সেদিন ওই আমলগুলো করার কারণে— ধর্তব্য হবে যে, মৃত্যুর দিন এই আমলগুলো করা হয়েছে।
সংক্ষেপে সেই আমলগুলো হলো-
এক. ইস্তেগফার
আমরা প্রতিদিন যেভাবে কাপড় ময়লা হলে পরিষ্কার করি, দেহের পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসল করি তদ্রুপ আমাদের আত্মার পরিচ্ছন্নতার জন্য দরকার প্রতিদিন ইস্তেগফার করা। সকাল বিকাল ইস্তেগফারের মাধ্যমে আমরা সারাদিনের ভুলগুলোর প্রায়শ্চিত্ত করতে পারব। ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করবেন।
দুই. রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ
রাসুল (সা.)-এর উপর দরুদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত আমাদের উপর বর্ষিত হবে। এজন্য সকল সন্ধ্যা প্রতিদিন রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা উচিত।
তিন. মাসনুন দোয়া পাঠ করা
প্রতিটি কাজের আগে যে নির্ধারিত দোয়া আছে, তা পাঠ করা। ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত কেননা অনেক মানুষ এই ঘুমের মধ্যেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মাসনুন দোয়ার মাধ্যমে সর্বাবস্থায় মনের মধ্যে আল্লাহর স্মরণ করা হয়।
চার. কোরআন তিলাওয়াত
প্রতিদিন যতটুকু সম্ভব পবিত্র কোরআনুল কারিম থেকে তিলাওয়াত করা উচিত। এতে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব হবে।
পাঁচ. জিকির
যত বেশি সম্ভব জিকির করা উচিত। কোরআনে জিকিরের কথা যতবার বলা হয়েছে— বেশি বেশি করে করার কথা বলা হয়েছে। জিকিরের মাধ্যমে অন্তর তাজা ও প্রাণবন্ত থাকে।
ছয়. মোরাকাবা
প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ মিনিট ধ্যান করা। চোখ বন্ধ করে নিজের মনে এই অনুভব করা যে, আমি সব অপকর্ম থেকে নিজেকে দূরে করে রাখছি। সব নেতিবাচকতা নিজের থেকে দূর করে— ইতিবাচকতা আনার চেষ্টা করছি। নিজেকে এমন অনুভব করানো যে, আমি আমার প্রভুর সাথে সম্পৃক্ত ও তার সম্মুখে রয়েছি।
Related News
স্বামী ছাড়া অন্য মাহরামের সঙ্গে হজে যাওয়া যাবে?
স্বামী ছাড়া অন্য মাহরামের সঙ্গে হজে যাওয়া যাবে? হজ ইসলামের ফরজ বিধান। কোনো ব্যক্তির কাছেRead More
গোসল ফরজ অবস্থায় কেউ মারা গেলে করণীয়
গোসল ফরজ অবস্থায় কেউ মারা গেলে করণীয় কোনো মুসলমান মারা গেলে অপর মুসলমানের ওপর মৃতেরRead More