Main Menu

জবরদস্তি শ্রম বন্ধে কাজ করছে মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন

নিউজ ডেস্ক:
জবরদস্তি শ্রম, মানবপাচার, বিদেশি কর্মীর মানসম্পন্ন কাজ, বেতন, বাসস্থান, সেবা ও অভিবাসন ব্যয় নিয়ে কাজ করছে মালয়েশিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরির আমেরিকান কোম্পানি ডাইসনের সরবরাহকারী এটিএ এর কর্মীদের স্ট্যান্ডার্ড শ্রম এবং আবাসনের পরিবেশ, সামাজিক চর্চায় (ইএসজি) উন্নতির জন্য জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করবে।

শ্রম অধিকারের একজন হুইসেল ব্লেয়ারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমেরিকার অডিটের পর এটিএতে সমস্যা পায় এবং দাইসন এটিএ, এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

আমেরিকা এসব নিষ্পেষিত শ্রমিক থেকে উৎপাদিত পণ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মালয়েশিয়া থেকে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে গ্লাভস কোম্পানি এবং তাদের সহযোগী কোম্পানিতে কর্মীদের জোর জবরদস্তি শ্রম এবং মানবপাচারের প্রমাণ পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ গ্লোভ আমদানি বন্ধ করে।

সব কোম্পানি মাইগ্রেশনের অতিরিক্ত খরচ ফেরত দেয়। এই অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় হয়েছে নিজ দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় আসার জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও নেপালের নাম উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের সরকার টু সরকার (জি-টু-জি) প্লাসের সময় সংঘটিত অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের বিষয়টি এক্ষেত্রে কাজ করেছে যা মালয়েশিয়াকে বিপদেই ফেলেছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য মালয়েশিয়া সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এদিকে কর্মী সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে দেশটি। এখন জল্পনা কল্পনা চলছে যে জি-টু-জি প্লাসের ডিসপিউটেড ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে কিনা, যদি হয় তাহলে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাজার আরও হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা উৎপাদকদের।

যেমন প্ল্যান্টেশন ও রপ্তানিমুখী শিল্প উৎপাদক শূন্য খরচে কর্মী আনতে প্রস্তুত আছে কিন্তু এসব বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন বিদেশি কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গতবারের এবং ২০০৬/০৭ সালের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন। অর্থাৎ মালয়েশিয়া ভালো কোনো পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ায় স্থির হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যে সুহাকাম রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক করেছে এবং শ্রমের অভিযোগ যাচাই করতে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সুবিধাগুলো পরিদর্শন শুরু করেছে এবং কোম্পানির উন্নতির জন্য প্রতিবেদন দিয়েছে। সুহাকাম নিশ্চিত করেছে, এটিএ তাদের অবস্থার উন্নতি করতে একসঙ্গে কাজ করবে।

সুপারম্যাক্স নতুন বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনা নীতি কার্যকর করে ২০২১ সালে ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সুপারম্যাক্স বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মান পূরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

আইএলওর শর্তাদি প্রতিপালনে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে প্রবাসেও নিজ দেশের কর্মী নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাছাড়াও, কোম্পানিটি বর্তমানে ইউএস কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন শর্তাদি আপডেট করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে।

সুপারম্যাক্স হাইলাইট করা ১১টি সূচক হলো- কর্মীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অপব্যবহার, প্রতারণা, চলাচলে সীমাবদ্ধতা, কর্মীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা, শারীরিক ও যৌন সহিংসতা, ভীতি ও হুমকি, পাসপোর্ট আটকে রাখা, মজুরি আটকে রাখা, দেশে ঋণের বন্ধন, আপত্তিজনক কাজ এবং জীবনযাত্রার অবস্থা, পাশাপাশি অত্যধিক কাজ এবং ওভারটাইম।

বিদেশি কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় ২০২২ সাল থেকে সাব-কন্ট্রাক্টরদের ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা করবে এবং এই সাব-কন্ট্রাক্টরদের দ্বারা শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে।

এসবই প্রবাসী কর্মীদের নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দারুনভাবে আশান্বিত করেছে বলে জানা গেছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *