ছাতকে দলীল সৃজন করে ভূমি দখলের চেষ্টা, ৬ জনের বিরুদ্ধে সমন
নিউজ ডেস্ক:
ছাতকে জাল দলিল সৃজন করে অন্যের ভুমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে দলিল লেখক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছেন আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চীফ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেন এ আদেশ দেন। বাদীর অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের পুত্র এখলাছ মিয়া, হাজী আছিম উল্লার পুত্র ফিরোজ মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার খাসিলা গ্রামের মৃত দিগেন্দ্র দাসের পুত্র ধনঞ্জয় দাস, মৃত অধর দাসের পুত্র শৈলে দাস, ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের বুরাইয়া গ্রামের তাজ উদ্দিনের পুত্র ছায়েফ উদ্দিন ও কালারুকা ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মৃত সচীন্দ্র কুমার দাসের পুত্র দলিল লেখক সুনিল দাসের বিরুদ্ধে প্রতারনা সহ বিভিন্ন ধারায় দায়েরী মামলা আমলে নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়। অভিযোগ থেকে জানা যায়, শ্রীমতপুর মৌজার বিপিন বিহারী শ্যামের মালিকানাধীন ৩০ শতক জমি রকম ভুমি ১৯৭৬ সালের ২৫ আগষ্ট ২০০০৯ নং সাফ কাবালা দলিল মুলে ক্রয় সূত্রে মালিক হন ইসকন্দর আলী। ১৯৭৭ সালের ১৮ এপ্রিল ১৪৩৬ নং সাব কাবালা মুলে ক্রয় সূত্রে ইক্ত ভুমির মালিকানা হন শ্রীপতিপুর গ্রামের সায়েস্তা মিয়া। পরে উক্ত ভুমি ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারী শায়েস্তা মিয়া শ্রীপতিপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিন আহমদের পুত্র প্রবাসী নিজামুল হকের কাছে বিক্রি করে দখল ত্যাগী হন শায়েস্তা মিয়া। রেজিষ্ট্রি কাবালা ২২৯ নং দলিল মুলে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে নিজামুল হক দীর্ঘদিন ধরে ওই ভুমি দখলে রেখে ভোগ করে আসছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে শ্রীপতিপুর গ্রামের এখলাছ মিয়া ও ফিরোজ মিয়া উক্ত ভুমি ক্রয় সূত্রে মালিকানা দাবী করে দখলের অপচেষ্টা করতে থাকে। এসময় ভুমির মালিকানা নিয়ে এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ ভুমির মালিক হিসেবে এ সময় ছাতক সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ জগন্নাথপুরের খাসিলা গ্রামের মৃত দিগেন্দ্র দাসের পুত্র ধনঞ্জয় দাসের কাছ থেকে ১৩৬৮ নং দলিলে ক্রয় করেছে বলে তারা প্রচার করে। একই সাথে স্থানীয় লোকজনকে বিশ্বাসে আনতে একটি দলিল দেখিয়ে উক্ত ভুমির মালিক বলে দাবী করেন এখলাছ মিয়া ও ফিরোজ মিয়া। তাদের প্রচার করা দলিলের মুল মালিক ধনঞ্জয় দাস, উক্ত ভুমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন। তার পিতা দিগেন্দ্র দাস ৩২১৬ নং দলিল মুলে ওই ভুমির মালিকানা হয়েছেন ১৯৬৮ সালের ১২ মে। কিন্তু ৩২১৬ নং দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দলিলটি ১৯৬৮ সালের ৪ মার্চ সম্পাদিত হয়েছে। যার দাতা রফিক উল্যা ও গ্রহীতা রহমত উল্যা। উক্ত ভুমি কানাইঘাট উপজেলার বর্ণফউর পরগনাভুক্ত। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে সালিশ-বেঠক হলেও এখলাছ মিয়া ও ফিরোজ মিয়া অসহযোগিতার জন্য তা নিস্পত্তি হয়নি। পরবর্তিতে তাদের দলিলটি জাল বলে নিশ্চিত হয়ে ভুমির মূল মালিক নিজামুল হকের পক্ষে তার ছোট ভাই নিয়াজ আহমদ ওরফে কয়েছ আহমদ বাদী হয়ে এখলাছ মিয়া, ফিরোজ মিয়া, ধনঞ্জয় দাস, শৈলে দাস, ছায়েফ উদ্দিন ও দলিল লেখক সুনিল দাসের বিরুদ্ধে সিলেট কোতয়ালী থানায় একটি মামলা (সিআর মামলা নং ৮১২/২০২০) দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডি সিলেট জোনকে তদন্তের ভার দেয়া হলে সিআইডির এসআই রিপন কুমার দে তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযোগে বর্নিত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন আদালত।
Related News
সুনামগঞ্জে হাওরে জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক
সুনামগঞ্জে হাওরে জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি হাওরে জলাবদ্ধতার কারণেRead More
ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা: মির্জা ফখরুল
ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা: মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,Read More