Main Menu

সিলেটে কমছে ফসলি জমি

নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে দিন দিন কমে আসছে ফসলি জমি। শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসন প্রকল্প, বাসাবাড়ি এবং গ্রামীণ এলাকায় সেচের অভাব, পুকুর, বাড়িঘর ও ইটভাটাসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের ফলে কমছে নিট ফসলের জমির পরিমাণ।

প্রতি বছর সিলেট অঞ্চলে দশমিক ১০ ভাগ ফসলি জমি কমছে বলে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে প্রতি বছর ফসলি জমি কমছে দশমিক ৮ ভাগ ও সিলেট অঞ্চলে কমছে দশমিক ৫ ভাগ।

জানা গেছে, সিলেট বিভাগে নিট ফসলি জমি রয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৯ হেক্টর। ১১ লাখ ৮১ হাজার ২১৩টি কৃষি পরিবারের মোট ফসলি জমি রয়েছে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৭ হেক্টর। এসব জমির মধ্যে সিলেটে রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৩৩ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৮২ হেক্টর, হবিগঞ্জে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ হেক্টর ও সুনামগঞ্জে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৪ হেক্টর।

নিট ফসলি জমির মধ্যে বিভাগে গড়ে প্রতি বছর জমি কমছে প্রায় দশমিক ১০ শতাংশ। অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় এলেও কমছে মূল ফসলি জমি। তবে শহর ও শহরতলি এলাকায় জমি কমছে প্রায় ২ ভাগ।

মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিজিত আচার্য জানান, গ্রামে আগের মতো খালবিল নেই। নদী ও খাল দখল হচ্ছে। ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা পানি পাচ্ছেন না। গ্রাম, শহর ও শহরতলি এলাকায় ফসলি জমিতে হচ্ছে বাড়ি, পুকুর ও আবাসন প্রকল্প। বিভিন্ন স্থানে বিশাল ফসলি জায়গায় গড়া হচ্ছে ইটভাটা।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ধাপ্পাই নদী, চাউনিয়া বিল, বড়বাঘা নদীসহ বেশ কয়েকটি খালবিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ছাতকের সিংচাপইড় এলাকায় হাতিরখালটি মরে গেছে। বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অবশ্য এলাকার লোকজন নদী খনন ও স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে আন্দোলনও করেছেন।

এদিকে শহরতলির ধোপাগুল এলাকায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে অর্ধশত স্টোন ক্রাশার মিল। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের উৎমা এলাকায় ফসলি জমি কেটে তোলা হয়েছে পাথর। একই উপজেলার পারুয়া, ভোলাগঞ্জ, গোয়াইনঘাটের জাফলং, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর, বালাগঞ্জ এবং জকিগঞ্জ ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

পাশাপাশি বিলগুলোও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অর্ধশত বিলই এখন সংকটাপন্ন। খননের শর্তে ইজারা নিলেও এসব বিল খনন করেননি মৎস্যজীবীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী বলেন, জমি কমার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করছি দশমিক ৫ ভাগ হবে। সারাদেশে ফসলি জমি কমার পরিমাণ দশমিক ৮। বাড়িঘর, রাস্তা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গড়ে ওঠাসহ নানা কারণে ফসলি জমি কমছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *