Main Menu

২য় স্ত্রীর চাপে সন্তানকে ফেলে দেন বাবা!

নিউজ ডেস্ক:
সাত বছর বয়সের শিশু আসিফ। কয়েক মাস আগে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার গর্ভধারিণী মা।

এরপরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সেসময় থেকেই আসিফের দুঃখ-কষ্টের শুরু।
পেটপুরে খাবার তো দূরে থাক সৎ মায়ের মারধর আর নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হতো তাকে। সৎ মায়ের আদেশ আসিফকে বাড়িছাড়া করতে হবে। জন্মদাতা বাবাও তাকে তার কাছে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় বউয়ের চাপে হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের সালথায় রাতের আঁধারে ফেলে রেখে যান নিষ্ঠুর বাবা।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় শিশু আসিফকে কুড়িয়ে পান রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের ছেলে সুমন মাতুব্বর। তিনি আসিফের সব কথা শুনে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।

আসিফ জানায়, তার বাবার নাম রেজাউল, মা আসমা বেগম। বাড়ি মিরপুর-১২ নম্বর। তার নানার বাড়ি রংপুর। তার মা ৬ মাস আগে ফুসফুস ক্যানসার রোগে মারা গেছেন। বাবা নতুন বিয়ে করেছেন। নতুন মায়ের কথা মতো বাবা তাকে ফেলে রেখে গেছেন।

সুমন মাতুব্বর বলেন, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। কাছে গিয়ে তার বিস্তারিত শুনে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সালথা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সালথা থানার ওসি সাহেবের কাছে একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে আসিফকে হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও বলেন, ওসি সাহেব আসিফের পুরো দ্বায়িত্ব নিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, প্রথমে শিশু আসিফকে উদ্ধারকারী সুমন মাতুব্বরের মাধ্যমে তাকে থানায় আনা হয়। পরে বিস্তারিত কথা শুনে আমি নিজেই ওর দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আপাতত শিশুটি থানায় আছে। থানায়ই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *