Main Menu

যখন ট্যাক্সি চালাতেন পুতিন!

নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যিনি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। দীর্ঘ দিন ধরে শাসন করছেন তার দেশ। তার জীবনে ছিল উত্তানপতন। এক সময় তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।

পুতিন বলেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন। সেই সময় নিজের খরচ মেটাতে তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসাবেও কাজ করেছেন।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ফলে তৈরি অর্থনৈতিক মন্দার কারণে রাশিয়ার অনেক বাসিন্দা অর্থ আয়ের জন্য নানা ধরনের কাজ শুরু করেছিলেন।
ওই পতনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক রাশিয়ার পতন হয়েছিল বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন।

সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিক ইউক্রেন ঘিরে তার বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে যে গুজব রয়েছে, তার এই মন্তব্য সেটি আরও উস্কে দিয়েছে।

ইউক্রেন সীমান্তে ৯০ হাজারের বেশি সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে।

তবে রাশিয়া সেটি নাকচ করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে। সেই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলে যাতে ন্যাটোর বিস্তার না ঘটে, তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে।

‘রাশিয়া, সর্বশেষ ইতিহাস’ নামে রবিবার প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে পুতিন ওই মন্তব্য করেন।

পুতিন বলেছেন, “সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার মাধ্যমে আসলে ঐতিহাসিক রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।”

সেই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “পশ্চিমা দেশগুলোয় অনেকের বিশ্বাস ছিল যে, কম সময়ের মধ্যেই রাশিয়া আরও টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।”

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের বিষয়টি পুতিনের জন্য যে দুঃখজনক ছিল, এই তথ্য আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে কী ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন, সেই তথ্য একেবারে নতুন।

“অনেক সময় আমাকে বাড়তি অর্থ রোজগার করতে হতো। তখন ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসেবে আমি বাড়তি কিছু অর্থ আয় করতাম। সত্যি কথা বলতে, এ বিষয়ে কথা বলাটা অস্বস্তিকর, কিন্তু এটাই ছিল ঘটনা,” বলেন পুতিন।

সেই সময় রাশিয়ায় ট্যাক্সি সেবা তেমন ছিল না। তখন অনেক ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক বাড়তি অর্থ আয় করার জন্য যাত্রীদের পরিবহন সেবা দিতেন। অনেকে এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের মতো যানবাহনও ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করতেন।

সোভিয়েত গুপ্তচর সংস্থা, কেজিবির একজন সাবেক এজেন্ট হিসেবে পরিচিত ভ্লাদিমির পুতিন।

তবে নব্বইয়ের দশকে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র অ্যানাতোলি সোবচাকের দফতরে চাকরি করতেন। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, ১৯৯১ সালের আগস্টে সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর তিনি পদত্যাগ করেন।

ওই অভ্যুত্থান ঘটনার পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *