Main Menu

৫৪ দিনে ঝুঁকি নিয়ে ইতালিতে ৪৪৭ বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছরের প্রথম ৫৪ দিনে অভিবাসনের সবচেয়ে বিপজ্জনক রুট হিসেবে পরিচিত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে চারশ ৪৭ জন বাংলাদেশি ইউরোপের দেশ ইতালিতে পৌঁছেছেন৷

সমুদ্রপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালিতে আসার সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও ৷

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ৫৪ দিনে মোট ১৩ হাজার ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে পৌঁছেছেন৷ এর মধ্যে আটশ ৬১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে জানা গেছে৷

চলতি বছরের এই আগমনের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা৷

সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে আসা সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী আফ্রিকার দেশ গিনির নাগরিক৷ আফ্রিকার এই দেশটি থেকে মোট এক হাজার ৬৫৪ জন ইতালিতে পৌঁছেছেন৷

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ আইভরিকোস্ট৷ দেশটি থেকে মোট এক হাজার ৫১১ জন নাগরিক এ সময়ে ইটালিতে পাড়ি জমিয়েছেন৷ এছাড়াও আছেন, নয়শ ৯৭ পাকিস্তানি, আটশ ৪৬ টিউনিশীয় এবং চারশ ৯০ মিশরীয় নাগরিক৷

জানা গেছে, ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তালিকায় বাংলাদেশের নাগরিকেরা প্রথম দিকেই অবস্থান করছেন৷ ইতালি সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার ১২৯জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইটালিতে পৌঁছেছেন৷ সেবছর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশিদের অবস্থান ছিল তৃতীয়৷ মোট ১৪ হাজার ৯৮২জন বাংলাদেশি ২০২২ সালে ইটালিতে পাড়ি জমিয়েছেন৷

ঝূঁকিপূর্ণ যাত্রা

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির দিকে আসার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন৷ সবশেষ রোববার ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলের কাছে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি কাঠের পালতোলা নৌকা ডুবে ১২ শিশুসহ ৬০ জন মারা গেছেন৷

ওই নৌকাটি তুরস্ক থেকে ইতালির উপকূলের দিকে রওনা হয়েছিল৷ এতে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরানসহ আরো কয়েকটি দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ছিলেন৷

জাতিসংঘের নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্পের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন ও নিখোঁজ হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ আর চলতি বছরে এই সংখ্যাটি এর মধ্যেই ২২০ ছাড়িয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *