Main Menu

সাগরে জীবন বাঁচিয়ে ফৌজদারি মামলার কোপে উদ্ধারকারীরা

নিউজ ডেস্ক:
গ্রিসে অনুসন্ধান ও উদ্ধার স্বেচ্ছাসেবী সারাহ মার্ডিনি এবং শন বাইন্ডারের বিরুদ্ধে একটি মামলা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু মানবিক সহায়তাকে অপরাধ হিসাবে দেখানোর বিষয়টি বন্ধ করতে হাজারো অনুরোধ সত্ত্বেও ইউরোপ জুড়ে শত শত লোক মানব পাচারের মতো অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এই নিয়ে ইনফোমাইগ্রেন্টসের বিস্তারিত প্রতিবেদন।

২০১৫ সালে সিরীয় শরণার্থী সারাহ মার্ডিনি এবং তার বোন ইউসরা তাদের নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় সমুদ্রে ঝাঁপ দেন। সিরিয়া থেকে ইউরোপে পালিয়ে আসছিলেন তারা। সেইসময় গ্রিক দ্বীপ লেসবসের তীরে যাওয়ার জন্য তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তারা সাঁতার কেটেছিলেন।

জার্মানিতে এসে পরিবারের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার পর সারা ২০২১ সালে বলেছিলেন সেইসময়ে তিনি “প্রতিদিন” চোখের জল ফেলতেন।

পরিবার জানতো না, আয়ারল্যান্ড থেকে সারা এবং তার বন্ধু শন বাইন্ডার পরে লেসবসে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দলে যোগ দেন। তারা অভিবাসীদের সমুদ্রে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতেন। এর ফলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় নির্জন কারাবাসে ছিলেন তারা। গ্রিক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান, একটি অপরাধমূলক সংস্থার সদস্যপদ, অর্থপাচার, গুপ্তচরবৃত্তি এবং অন্যান্য অপরাধসহ একাধিক ধারায় মামলা করে।

অভিবাসীরা কাঠের নৌকায় লাইফ জ্যাকেট পরে এসেছিলেন৷ স্প্যানিশ এনজিও ওপেন আর্মস ক্রু সদস্যরা ভূমধ্যসাগরের ইটালীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার দক্ষিণে একটি উদ্ধার অভিযানের সময় তাদের সহায়তা করে৷ তারা বেশিরভাগই টিউনিশীয়৷ শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২৷ ( এপি ছবি/ফ্রান্সিসকো সেকো)
অভিবাসীরা কাঠের নৌকায় লাইফ জ্যাকেট পরে এসেছিলেন৷ স্প্যানিশ এনজিও ওপেন আর্মস ক্রু সদস্যরা ভূমধ্যসাগরের ইটালীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার দক্ষিণে একটি উদ্ধার অভিযানের সময় তাদের সহায়তা করে৷ তারা বেশিরভাগই টিউনিশীয়৷ শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২৷ ( এপি ছবি/ফ্রান্সিসকো সেকো)
লেসবসের আদালতে নিজেদের কথা জানাতে বাইন্ডার এবং মার্ডিনির কয়েক বছর সময় লেগেছিল। এটি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিবেদনে এটিকে ইতিহাসে মানবিক সহায়তার অপরাধীকরণের বৃহত্তম মামলা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে মামলায় পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তাদের বিরুদ্ধে আনা চক্রান্তের অভিযোগ বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনও গুরুতর অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন এই জুই জন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

‘অনেক বেশি লাইফ জ্যাকেট’

মার্ডিনি, বাইন্ডার এবং ২২ জন সহ-অভিযুক্তরা ইউরোপের কয়েকশ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। অভিবাসীদের সহায়তা প্রদানের জন্য অভিযোগের মুখোমুখি অসংখ্য মানবিক সহায়তা কর্মী এবং অ্যাক্টিভিস্ট। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে অপরাধমূলক অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে।

উপকূলরক্ষীকে দুর্দশাগ্রস্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে সতর্ক করা বা সমুদ্রে অভিবাসীদের উদ্ধার করার বাইরেও একাধিক ইস্যুতে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, গত ছয় বছরে অভিবাসীদের খাবার এবং গরম চা দেয়া, আশ্রয় দেয়া, পাহাড়ি এলাকায় লোকেদের সাহায্য করা, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এবং গাড়ির আলো জ্বালাতে সাহায্য করলেও মামলার উদাহরণ রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাজক, পাহাড়ের গাইড, আইনজীবী এবং জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন।

অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য এনজিওগুলির বিরুদ্ধে অনেক সময় দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলায় খুব সাধারণ কিছু অভিযোগ আনা হয়। যেমন- অনেক বেশি যাত্রীকে জাহাজে তোলা, অনেক বেশি লাইফ জ্যাকেট থাকা, সম্ভাব্য উদ্ধারের কথা মাথায় রেখে অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা করা। ইইউ ফান্ডামেন্টাল রাইটস এজেন্সি অনুসারে এর ফলে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।

কেমন প্রভাব

সম্প্রতি লাটভিয়ায় খুব বড় সংখ্যক অভিবাসী ইইউতে আশ্রয়ের আশায় বেলারুশ হয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ পরিবারও রয়েছে। বরফশীতল সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি থাকে। সেখানে আটকে থাকার সময় গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার পরে কখনোসখনো হাত কিংবা পায়ের মতো অঙ্গ বাদ দেয়ার প্রয়োজন হয়।

গত বছরে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সঙ্গে থাকা বেলারুশ সীমান্তে সংকট বেড়েছে কারণ হাজারো অভিবাসী ইইউ সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ ছবি: ওকসানা মানচুক/পিকচার অ্যালায়েন্স
গত বছরে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ার সঙ্গে থাকা বেলারুশ সীমান্তে সংকট বেড়েছে কারণ হাজারো অভিবাসী ইইউ সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ ছবি: ওকসানা মানচুক/পিকচার অ্যালায়েন্স
মারাত্মক শৈত্যপ্রবাহে একজন আফগান অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৩ জানুয়ারি লাটভিয়ার রাষ্ট্রীয় সীমান্ত রক্ষী মানবাধিকার সংস্থার দুই সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করেছে। সংস্থার নাম গ্রিবু পালিডজেৎ বেলজিয়াম অর্থাৎ ‘আমি শরণার্থীদের সাহায্য করতে চাই’। এই সংস্থার প্রধান, লেখক এবং সমাজবিজ্ঞানী ইভা রাউবিস্কোও রয়েছেন অভিযুক্তর তালিকায়।

লাটভিয়া এবং বেলারুশ সীমান্তের পাঁচজন সিরীয় আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপীয় আদালতের জারি করা আদেশ অনুসারে যাতে মানবিক সহায়তা পানন, তা দেখতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন।

রাউবিস্কোর সংস্থার মতে, এটি লাটভিয়ার ইতিহাসে প্রথম ঘটনা যেখানে কর্তৃপক্ষ বৈধ মানবাধিকার কার্যক্রমকে অপরাধের তালিকায় এনেছে। এটি একটি বিপজ্জনক নজির তৈরি করেছে।

এমনকি যদি দুজনকে খালাস দেওয়া হয় বা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়, যেমনটি লেসবসে ঘটেছে তাতেও কি সমস্যা মিটবে? তারা উদ্বিগ্ন, মানবিক সহায়তা দেয়ায় অভিযুক্তদের কারাদণ্ড বা বড় জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনা মানবাধিকারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, হাঙ্গেরির তথাকথিত ‘স্টপ সোরোস’ আইন মানবাধিকার কর্মীদের জন্য একটি তাত্ত্বিক ঝুঁকি তৈরি করেছে। এর ফলে তারা সীমান্ত পেরিয়ে আসা ব্যক্তিদের আশ্রয়-আবেদনে সহায়তা করলে অপরাধমূলক শাস্তি হতে পারে। ব্লকের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন লঙ্ঘন করে।

বাম থেকে ডানে: মার্কাস এন. বেকো এবং ফ্রানজিস্কা ভিলমার (উভয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানি), বার্লিনে ইউভেন্তা ক্রু সদস্য সাশা গিরকে, দারিউশ বেইগুই এবং হেনড্রিক সাইমনের সঙ্গে৷ ছবি: পিকচার-অ্যালায়েন্স/ডিপিএ
বাম থেকে ডানে: মার্কাস এন. বেকো এবং ফ্রানজিস্কা ভিলমার (উভয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানি), বার্লিনে ইউভেন্তা ক্রু সদস্য সাশা গিরকে, দারিউশ বেইগুই এবং হেনড্রিক সাইমনের সঙ্গে৷ ছবি: পিকচার-অ্যালায়েন্স/ডিপিএ
আইনি অচলাবস্থা

দারিউশ বেইগুইয়ের মতে, অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে বা অভিবাসীদের অন্যান্য সহায়তা প্রদান করতে ভয় দেখানো রাষ্ট্রগুলির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।

ইতালিতে ‘ইউভেন্তা’ নামে যে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। সেটি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বেইগুই এবং অন্য তিনজন ক্রু সদস্য ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের মধ্যে ইউভেন্তাতে কাজ করেছেন। তখন থেকেই এক ধরনের আইনি জটিলতায় রয়ে গিয়েছে। আদালত এখনো তাদের মামলার বিচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। দোষী সাব্যস্ত হলে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করা এবং উৎসাহিত করার অভিযোগে বড় জরিমানা সহ তাদের ২০ বছরের জেল হতে হবে।

৩০ হাজার পাতার নথিসহ ইউভেন্তা ক্রুদের বিচার মানবাধিকার রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ফৌজদারি মামলা হিসাবে মার্ডিনি মামলার সমকক্ষ।

তিনি ইনফোমাইগ্র্যান্টসকে বলেন, “এটি ক্লান্তিকর। গত বছরের শেষ তিন মাস আমি ট্রাপানিতে (সিসিলিয়ান শহর যেখানে প্রাথমিক শুনানি হয়েছে) ছয়বার গিয়েছি। এতে অনেক সময় এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টিও রয়েছে।”

বেইগুই এনজিওগুলির অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী জাহাজের পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তার কথায়, “আমার জন্য এটি অর্থ, শারীরিক সক্ষমতা এবং স্নায়ুবলের বিষয়। কিন্তু যাদের সাহায্য করার জন্য কেউ নেই, তারা তো জীবন বাজি রাখছেন।”

‘গ্রিসের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা’

গ্রিসের প্রবীণ মানবাধিকার মামলাকারী প্যানায়োতে ​​দিমিত্রাস অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন। তৃতীয় দেশের নাগরিকদের প্রবেশ ও থাকার সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হতে চলেছে।

২০২১ তিনি গ্রিক কর্তৃপক্ষকে কোসে আসা অভিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন, তাদের নাম এবং জাতীয়তা তালিকাভুক্ত করেছিলেন। তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিক হেলসিঙ্কি মনিটর (জিএইচএম)কে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা আশ্রয় আবেদন নিয়ে ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।

গ্রিক কর্তৃপক্ষ তাকে এবং নরওয়ে ভিত্তিক এজিয়ান বোট রিপোর্ট (এবিআর) এর প্রতিষ্ঠাতা টমি ওলসেনকে তুরস্কে মানব পাচারকারীদের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগ এনেছে। তদন্তের সময় দিমিত্রাসকে গৃহবন্দি করার আদেশের পরিবর্তে, তারা তাকে জিএইচএম-এর সঙ্গে কাজ করতে বাধা দিতে চেয়েছিল।

দিমিত্রাস ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেছেন, “তারা আমাদের কাজ সীমিত করতে চায়। এই পুরো বিষয়ের এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।”

দিমিত্রাস দাবি করেছেন, এই ক্ষেত্রে গ্রিক কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। কারণ এবিআর এবং জিএইচএম দুটি এনজিও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণে জড়িত। এর মধ্যে অবৈধ পুশব্যাকের বিষযটিও রয়েছে যা সরকার অস্বীকার করে। দিমিত্রাসের ভাষায়, “গ্রিস রাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার জায়গা এটি।”

তার কথায়, “মার্ডিনি এবং অন্যান্য মামলার পরে যখন কয়েকজন ব্য়ক্তি ১০০ দিন পর্যন্ত হাজতবাস করেছে, তখন বড় সংখ্যক এনজিও অত্যন্ত সতর্ক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দ্বীপগুলিতে উদ্ধারের আগে তারা বিশেষ সতর্ক থাকে। এই সব মামলার আগে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এলে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে সাহায্য করত এনজিওগুলি।”

সংস্কারের আহ্বান

আন্তর্জাতিক আইন বলে যে রাষ্ট্রগুলিকে কেবল অভিবাসীদের অধিকারই নয়, যারা তাদের সহায়তা করে তাদেরও রক্ষা করা উচিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি এবং এনজিও যেমন ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অফ জুরিস্ট (আইসিজে), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য সুশীল সমাজ গোষ্ঠীগুলি মানবিক সহায়তাকে অপরাধ হিসাবে দেখানোর বিষয়টি বন্ধ করতে জন্য বহুবার আহ্বান জানিয়েছে।

এই সংস্থাগুলি ইইউকে আইন সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ আর্থিক লাভ এবং মানবিক সহায়তার জন্য মানবপাচারকারীর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে এই আইনে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। এখনো পর্যন্ত, ইইউ অভিবাসন চুক্তিতে ঠিক কী অপরাধ এবং কী নয় সে বিষয়ে দুই বছর আগে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এটি অস্পষ্ট রয়ে গিয়েছে।

সাবেক ক্যাপ্টেন দারিউশ বেইগুই বলেন, “আপনি লোকেদের সাহায্য করুন বা না করুন, আপনি যদি একজন অভিবাসী হন বা আপনি একজন মানবপাচারকারী হন তবে তিনটি ক্ষেত্রেই ‘অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা এবং মদত দেওয়ার’ অভিযোগ আনা হবে।”

ইইউর স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার, ইলভা ইওহানসন, গত সপ্তাহে ইইউ দেশগুলির কাছে আবার আবেদন করেছেন, “জাতীয় আইনে এটি স্পষ্ট করে দিন যে মানবিক সহায়তা অপরাধমূলক করা হবে না।” কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তর্কবিতর্কের সময় রাজনীতিবিদদের অনেকে জোর দিয়েছিলেন, সমুদ্র থেকে উদ্ধারকাজে জড়িত থাকা এনজিওগুলি অবৈধ অভিবাসন সংগঠিত করার জন্য দায়ী। বরং দেশের সীমানা রক্ষাকারী সরকারগুলির প্রশংসা করেছেন অনেক রাজনীতিবিদ।

যে কোনো রাজনৈতিক বা আইনগত পরিবর্তন এলেও প্যানায়োতে ​​দিমিত্রাসসহ বর্তমানে যারা বিচারের মুখোমুখি, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মাসের পর মাস এই কারণে আমার চোখে ঘুম নেই। আমার ৭০ বছর বয়স।’ সূত্র: ইনফোমাইগ্রান্টস।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *