Main Menu

জুমার দিনের যে আমল নবীজীর (সা:) কাছে পৌঁছানো হয়

ইসলাম ডেস্ক:
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন বলেছেন। এ দিনের বিশেষ কিছু ঘটনা উল্লেখ করার পর বিশেষ একটি আমল বেশি বেশি করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কারণ জুমার দিনের বিশেষ এ আমলটি তাঁর কাছে উপস্থাপন করা হবে ঘোষণা দিয়েছেন নবিজী। বিশেষ এ আমলটি কী?

নবিজী সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র কথা ও কাজের বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুমিনের ঈমানের পরিপূর্ণতা প্রকাশ পায়। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন, পরকালের কল্যাণে যেসব আমল করতে বলেছেন তা যথাযথভাবে মেনে আমল করাই মুমিনের একমাত্র কাজ। এমন বহু আমল আছে যার নির্দেশনা শুধু নবিজীই দেননি বরং কোরআনেও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তেমনি একটি আমল সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-

إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِيِّۚ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ صَلُّواْ عَلَيۡهِ وَسَلِّمُواْ تَسۡلِيمًا

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেস্তারা নবীর প্রতি সালাত (দরূদ) পাঠায়, হে মুমিনগণ! তোমরাও নবির জন্য সালাত (দরূদ) ও যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫৬)

জুমার দিনের বিশেষ আমল

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও জুমার দিন এ দরূদের বিশেষ আমলের কথা ঘোষণা করেছেন। আরও জানিয়েছেন, দরূদের এ আমল তাঁর কাছে পৌছানো হয়। হাদিসে পাকে এ আমলটি কথা এভাবে তুলে ধরা হয়েছে-

إن من أفضل أيامكم يوم الجمعة فيه: خلق آدم، وفيه النفخة، وفيه الصعقة، فأكثروا عليّ من الصلاة فيه فإن صلاتكم معروضة عليّ. فقالرجل: يا رسول الله! كيف تعرض صلاتنا عليك وقد أرمت؟ يعني بليت. قال: إن الله حرّم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء.

সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে তোমাদের জন্য শুক্রবার হল সর্বোত্তম দিন। যাতে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে দিনেই সিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং সে দিনেই সব জীবন মৃত্যবরণ করবে। সুতরাং তোমরা তাতে আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের দরূদ আমার সম্মানে উপস্থাপন করা হবে। এক ব্যক্তি বলল- হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তো মৃত্যুর পর মাটির সঙ্গে মিশে যাবেন; অতএব আমাদের দরূদ আপনার প্রতি কিভাবে পেশ করা হবে? নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা নবিদের দেহ হজম করাকে মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

শুধু জুমার দিনই নয়; যারা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়বে না; হাদিসের ভাষায় তারা বখিল। সুতরাং নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়ে নবিপ্রেমের প্রমাণ ও জুমার দিনটি সর্বত্তোম আমলের দিন হিসেবে পরিণত করাই মুমিন মুসলমানের একান্ত কাজ।

বিশেষ করে এ হাদিস দুইটি স্মরণ রাখা আরও বেশি জরুরি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

১. البخيل من ذكرت عنده فلم يصل عليَّ

‘প্রকৃত কৃপণ তো সেই ব্যক্তি; যার সামনে আমার আলোচনা হল, অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পড়লো না।’ (ইবনে মাজাহ)

২. ما جلس قوم مجلسًا لم يذكروا الله فيه، ولم يصلوا على نبيهم إلا كان عليه ترة فإن شاء عذبهم وإن شاء غفر لهم

‘কোনো জাতি এক মজলিসে বসলো; অথচ তারা সেখানে না আল্লাহর কথা আলোচনা করলো, না তারা তাদের নবির প্রতি দরূদ পড়লো। এতএব, এটি হবে তাদের জন্য হতাশার কারণ; আল্লাহ তাআলা চাইলে তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন; আবার দেরকে ক্ষমাও করতে পারেন।’ (তিরমিজি)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহের সেরা দিন জুমার দিন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়া। দরূদ আমলে নিজেদের আমল ও ঈমানকে পরিপূর্ণ করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। দরূদের আমলে নিজেদের রাঙানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *