যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন এক আফগান বংশোদ্ভূত নারী। নিজের ভগ্নিপতি, তার বাবা এবং নিজের বাবাকে গুলি করে হত্যার পর নিজের ওপর গুলি চালান ওই নারী। তার নাম খোসাই শরিফী।
রবিবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে ওই নারী প্রকাশ্যে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে তার বোনকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ করেছে। তার দাবি, তার বোনের সঙ্গে যখন এমন অন্যায় করা হচ্ছিল তখন অন্য আত্মীয়রা এর প্রতিবাদ করেনি। সেই আত্মীয়দের মধ্যে দুইজনকে তিনি হত্যা করেন।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছেন। ফেসবুকে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লিনে বসবাসরত একজন আফগান নারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত ২৩ আগস্ট বিকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন ওই নারী। তার বোনকে চড়, লাথি, মুখে ঘুষি মারা আর শ্বাসরোধ করার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। জানান, বোনের সঙ্গে তার স্বামীর আচরণও ছিল খুবই বাজে।
নিজের পোস্টে ওই নারী আরও লিখেছেন, ‘আমার মা-বাবা এবং তার মা-বাবা এতো বছর ধরে জানতো। কিন্তু আসলে তারা তেমন কিছুই করেনি। বরং বলতো, ‘তোমরা আলাদা হলে লোকে কী বলবে?’ এমনকি তারা ভিকটিম ব্লেমিংও করতো।’
নিজের বাবার বিরুদ্ধেও মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই পোস্টের কয়েক মিনিটের মাথায় শরিফী তার বাবা ৬৬ বছরের মোহাম্মদ শরিফী এবং ৩৪ বছরের ভগ্নিপতি সানজার হালিনকে গুলি করেন। তাদের উভয়েই ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে ভগ্নিপতির বাবা ৫৬ বছরের আব্দুল হালিনের গাড়িতে বসেই গুলি করে তাকে হত্যা করেন শরিফী। এরপর প্রায় আধা মাইল গাড়ি চালিয়ে একটি মুদি দোকানের বাইরে সেটি পার্ক করেন তিনি। তার নিজের ওপর বন্দুক চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শুধু প্রতিশোধ নিতে ওই নারী এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটান কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি প্রসিকিউটররা। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস বলছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া দেওয়া ওই পোস্টের ভিত্তিতে কোনও মন্তব্য করবে না।