Main Menu

লিসবনে বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক:
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ ব্যানার, পোস্টার এবং বিভিন্ন রঙ্গিন ফেস্টুনের সমন্বয়ে দূতাবাসকে বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়।

কনসুলেট প্রধান দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাবৃন্দদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।

এরপর দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের হল রুমে আলোচনা সভার শুরুতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের উপর গুরুত্বারোপ এবং উনার জীবনী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

এসময় দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী তাঁর বক্তব্যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে আর বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস একই সূত্রে গাথা।

বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী। আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।

আলোচনা সভার শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাস পর্তুগালে বেড়ে উঠা প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে তিনটি পৃথক বয়সের ক্যাটাগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *