Main Menu

দেশে ফিরতে আগ্রহী নন পোল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিরা

নিউজ ডেস্ক:
ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর দেশটি থেকে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৬ শতাধিক বাংলাদেশি। দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া এসব অভিবাসীদের বেশির ভাগই অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

অভিবাসীদের মধ্যে আশ্রয় নেয়া শিক্ষার্থীরা পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া প্রভৃতি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ খুঁজছেন। দেশে ফিরতে আগ্রহী নন তারা।

জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে প্রায় ৬ শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক পোল্যান্ড সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তবে পোল্যান্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন এখন চার শতাধিক বাংলাদেশি। অন্যরা বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছেন। কেউ কেউ পোল্যান্ড ত্যাগ করে ইউরোপের অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিরা ঠিক কবে নাগাদ ফিরবেন, তার কোনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। সুবিধামতো সময়ে তাদের ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা রহমান।

বুধবার (০৯ মার্চ) তিনি বলেন, পোল্যান্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে এখন ৪ শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরতে আগ্রহী নন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির চেষ্টা করছেন।

যুদ্ধকবলিত দেশটিতে এখনো আটকে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা প্রসঙ্গে ওয়ারশতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলেন, ‘সুমি শহর আটকে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তাদের ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে নিয়ে আসা হবে৷’

বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা অভিবাসীদের মুক্ত করার বিষয়টি একটু ‘জটিল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নানাভাবে চেষ্টা করছি তাদের উদ্ধার করতে৷ দেখা যাক, কী করা যায়৷’

এদিকে ইউক্রেন থেকে হাঙ্গেরিতে আশ্রয় নেওয়া ১৪ জন বাংলাদেশি মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হাঙ্গেরির একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এমন অনেক শিক্ষার্থী ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ খুঁজছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। পরে পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে দেশটিতে আশ্রয় নিতে শুরু করেন বাংলাদেশিরা।

বৈধ পাসপোর্টধারীরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পাসপোর্ট দেখিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারছেন। আর যাদের পাসপোর্ট নেই, তারা ট্রাভেল পাস নিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকছেন। পোল্যান্ডে দুই সপ্তাহ তারা থাকতে পারবেন। দূতাবাস থেকে তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *