নিউজ ডেস্ক:
অভিবাসন সমস্যায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের পাশে দাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই মধ্যে আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাতদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজতর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সোমবার একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে সাইপ্রাস৷
চুক্তির অধীনে অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মান উন্নত করতেও সহায়তা দেবে ইইউ৷
সাইপ্রাসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস নুরিস এবং স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার ইলভা জোহানসন একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন৷ এই চুক্তির ফলে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে আসা অভিবাসী, শরণার্থীদের থাকার জন্য সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রগুলো (রিসেপশন সেন্টার) উন্নত করা হবে৷
তবে যাদের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তাদেরকে দ্রুত ও সহজতর পদ্ধতিতে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে৷
চুক্তি স্বাক্ষর কালে নিকোস নুরিস বলেন, ‘আজ সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন৷ আমাদের দেশের সমস্যা মোকাবিলার জন্য আমাদের সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে এই চুক্তি৷’
এ বিষয়ে ইলভা জোহানসন বলেন, ‘চুক্তিটি সাইপ্রাসকে সময়োপযোগী আশ্রয়প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সহায়তা করবে যাতে আশ্রয়প্রার্থীদের দীর্ঘ অপেক্ষার সম্মুখীন হতে না হয়৷ চুক্তির ফলে (আশ্রয় আবেদন) প্রত্যাখ্যাতদের মূল দেশে পাঠাতে প্রত্যাবর্তন ব্যবস্থা উন্নত করা সহজ হবে৷’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক থেকে সমুদ্র পেরিয়ে সাইপ্রাসে অভিবাসীদের আগমন বেড়েছে৷ গত বছর থেকেই এই সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটিকে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থা ফ্রন্টেক্সের হিসাবে, গত জানুয়ারিতে সাইপ্রাসে আসা অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা এক বছর আগের চেয়ে ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। যা আট লাখ ৫০ হাজার জনগোষ্ঠীর ছোট আয়তনের দেশটির জন্য অভিবাসীদের এই আগমন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এদিকে নিকোসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাইপ্রাসে বসবাসরত মোট জনসংখ্যার চার দশমিক ছয় শতাংশ এখন আশ্রয়প্রার্থী অথবা স্বীকৃত শরণার্থী, যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ৷