স্পেনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক:
প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা-আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’– এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদে দূতাবাসের উদ্যোগে “জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩” উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংস্থার সদস্যবৃন্দসহ সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় অর্থনীতি ও সামাজিক পরিমন্ডলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রথমবারের মত উদযাপিত হয় জাতীয় প্রবাসী দিবস।
দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বানী পড়ে শোনানো হয়।
এরপর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রবাসীদের কর্মসংস্থান ও তাদের কল্যাণ বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ে প্রস্তুতকৃত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে স্পেন প্রবাসী অভিবাসী কর্মী, তাদের সুহৃদ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন কার্যক্রম ও কল্যাণে যুক্ত সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতার অসামান্য নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে। দেশের সার্বিক এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের ও রয়েছে অসামান্য অবদান। স্পেনে বসবাসরত প্রায় ৬০ হাজার প্রবাসী তাদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছেন।
তিনি বলেন, স্পেন থেকে বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। স্পেন থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৪.৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈধভাবে দেশে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস সবসময় সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান। এছাড়া স্পেনে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। স্পেনসহ ইউরোপীয়ান দেশগুলোতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। প্রবাসী দক্ষ কর্মীরা যেন বৈধ প্রক্রিয়ায় ভিসা নিয়ে ইউরোপীয়ান ইউনিউয়নভুক্ত দেশগুলোতে আসতে পারেন সে জন্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
স্পেন প্রবাসীরা যেন দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যেন তারা সহজে পান সেজন্য দূতাবাস আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকার নানাবিধ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে চালু করা হয়েছে পেনশন স্কিম, যার মধ্যে প্রবাস স্কিম চালু করা হয়েছে শুধুমাত্র প্রবাসীদের কল্যাণে। প্রবাসীরা এ স্কিমে নিজে অংশগ্রহণ করতে পারেন অথবা পছন্দ অনুসারে অন্য যে কোন স্কিমে নিজের কোন নিকটাত্মীয়ের পক্ষেও অংশ নিতে পারেন। তিনি স্পেন প্রবাসীদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে দূতাবাসের শ্রম উইং কর্তৃক প্রদানকৃত সুবিধা গ্রহণের আহবান জানান।
Related News

পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর ঋণ দেওয়া কেন ঠেকাতে পারেনি ভারত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ গত সপ্তাহে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ (সহায়তাRead More

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More