Main Menu

কানাডায় জেরিন’স আর্ট স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক:
প্রবাসে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে কানাডার ক্যালগেরির স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেরিন’স আর্ট স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল কোমলমতি শিশুদের নিয়ে চিত্রকলা প্রদর্শনী, মৃত্তিকা শিল্পের প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর এতে যোগ দেন সকল কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ড. রিতা কর্মকার।

অনুষ্ঠানে সংগীতানুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ড. জেবুন্নেসা চপলা। শিশু-কিশোরদের নিয়ে ফ্যাশন শো পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন নিগার সুলতানা পপি।

স্বনামধন্য রম্য লেখক বায়াজিদ গালিবের লেখা নাটক ‘ফ্রেন্ডশিপ’র নির্দেশনায় ছিলেন ক্যালগেরির জনপ্রিয় নাট্যব্যক্তিত্ব মৌ ইসলাম। অনুষ্ঠানের প্রযুক্তি ও শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সংগীত শিল্পী গুরুপ্রসাদ দেবাশিস এবং জাহিদ হক।

অনুষ্ঠানে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার ও আলবার্টা সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সনদ প্রদান করেন এম এল এ পারমিত সিং বোপারাই, কোট এলিংসন এবং কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এন্থনি জ্যাকব।

সনদপ্রাপ্তরা হলেন– আর্ট স্কুলের স্বত্বাধিকারী জেরিন তাজ আহমেদ, পরিচালক বায়াজিদ গালিব, আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠায় সহয়তার জন্য ড. রিতা কর্মকার, উই উই জেন, সাংবাদিক আহসান রাজীব বুলবুল, রুপকদত্ত, সমিরন রায় এবং আবীর খন্দকার। স্বেচ্ছাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য ও পুর্বাশা চৌধুরীকে সনদ প্রদান করা হয়।

স্কুলের পক্ষ থেকে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী সিফাত আহসান রাজীবসহ শিশু শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারী শিশুদের সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শেখর কুমার সান্যাল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন স্কুলের পরিচালক বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জেরিন তাজ আহমেদ। তিনি বলেন, যা কিছু ভালো লাগে তাই শিল্পকর্ম। শিশুরা জন্মগতভাবেই চিত্রশিল্পী, আমাদের কর্তব্য তাদের লালন করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শেখর কুমার সান্যাল বলেন, এই কোমলমতি শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই প্রবাসে আমাদের এই শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিকে, আমাদের বাংলাভাষাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে, উজ্জীবিত রাখবে। তাদের যারা পরিচালিত করছে, বিশেষ করে জেরিন তাজ আহমেদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।

এসময় জেরিন আর্ট স্কুলের পরিচালক বায়াজিদ গালিব বলেন, প্রবাসে কোমলমতি শিশুদের নিয়ে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিশেষ করে ভিনদেশীয়দের ভিন্ন ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা ও আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে জেরিন যে অবদান রাখছে তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ড. রিতা কর্মকার বলেন, এই শিশুরাই আমাদের লাল সবুজের পতাকা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। জেরিন’স আর্ট স্কুল এভাবে তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে আমাদের কমিউনিটিকে সুন্দর একটা পৃথিবী উপহার দেবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে ছোট ছোট শিশু-কিশোর এবং তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সেন্টার রূপ নিয়েছিল একখণ্ড বাংলাদেশে। নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *