Main Menu

স্পেসএক্সে প্রকৌশলী হলেন ১৪ বছরের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিয়েছে ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী। যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র কাইরান কাজী।

শনিবার (১০ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বে এরিয়ার ১৪ বছর বয়সী বিস্ময় বালক কাইরান কাজী আগামী সপ্তাহে সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক শেষ করবে। কিন্তু তার আগেই ইলন মাস্কের মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সে আগামী জুলাই মাসে সে প্রকৌশলী হিসেবে নতুন চাকরি শুরু করছে।

স্পেসএক্সের ‘প্রযুক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জিং’ ও আনন্দঘন সাক্ষাৎকার সফলতার সঙ্গে উতরে গিয়ে এই চাকরি পেয়েছে কাইরান কাজী।

চাকরি পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যম লিঙ্কডইনে কাইরান লিখেছে, ‘পৃথিবীর সেরা কোম্পানিতে আমি প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছি; কোম্পানির স্টারলিংক প্রকৌশলী দলে যোগ দিচ্ছি আমি। এরা বিশ্বের সেই বিরল কোম্পানিগুলোর একটি, যারা বয়সের মতো পুরোনো মানদণ্ড দিয়ে সক্ষমতা ও পরিপক্বতা বিবেচনা করেনি।’

মাত্র দুই বছর বয়স থেকেই প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে আসছে কাজী। সেই বয়সেই সে পূর্ণাঙ্গ বাক্যে কথা বলতে পারত। কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর সে রেডিওতে শোনা গল্প বন্ধুদের কাছে বলত।

লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের সূত্রে সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় তার যখন মনে হয় স্কুলের পড়াশোনা অতটা চ্যালেঞ্জিং নয়, তখন তার মা-বাবা ক্যালিফোর্নিয়ার এক কমিউনিটি কলেজে তাকে ভর্তি করে দেন। তখন তার মনে হয়, সেই বয়সে যা শেখা দরকার, সে তখন তাই শিখতে পারছে। এরপর ১১ বছর বয়সে সে সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন কাইরান।

কাইরান কাজীর লিঙ্কডইন প্রোফাইলের তথ্যানুসারে, গত বছর সে ব্ল্যাকবার্ড ডট এআই নামের এক সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্মে চার মাস মেশিন লার্নিংয়ের ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করে। সেখানে সে সামাজিক মাধ্যমের আধেয় ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা শনাক্তের পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি তৈরি করে।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা কাইরানকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ৯ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্লাস শুরু করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিস্ময় বালক কাইরান কাজী।

যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর স্নাতক শেষ হয় ২২ বা তারও বেশি বয়সে। কিন্তু অস্বাভাবিক আইকিউর অধিকারী কাইরান কাজীর ক্ষেত্রে তা কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি। কলেজের অভিজ্ঞতাও কখনও অদ্ভুত লাগেনি বলে জানিয়েছে কাজী।

‘আলাদা করে কলেজের অভিজ্ঞতাকে তুলনা করার মতো কিছু পাইনি। কিন্তু আমি সত্যিই তা উপভোগ করেছি। আমি অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু তৈরি করেছি। আমি মনে করি, কিছু দিন পর সেখানে আমার থাকাটা বন্ধ হয়ে যাবে।’

কম বয়সে কলেজে স্নাতক পড়ার অভিজ্ঞতার বিষয়ে কাইরান বলেছে, ‘আমার মনে হয়েছিল যে, আমি সেই স্তরে শিখছি যেটা শিখতে চাইছিলাম।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *