Main Menu

প্যারিসের শহরতলীতে অভিবাসীদের নতুন আবাসন

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের শহরতলী মন্ত্রইয়ে স্থায়ী নতুন আবাসন পেয়েছেন ১৬০ জন অভিবাসী৷ ২০১৮ সালে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া প্রায় ৫০০ অভিবাসীকে পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলের সেইন সেইন্ট ডেনিস ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রই শহরের বারা হোম নামের ভবনটি আলোচিত ছিল অভিবাসীদের কাছে৷ পুরো ভবনই ছিল অভিবাসীদের আস্তানা৷ এক পর্যায়ে বসবাসকারীর সংখ্যা ভবনটির ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে যায়৷ তার উপর অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের কারণে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভবনটি খালি করার সিদ্ধান্ত নেন শহরের মেয়র।

সেখান থাকা প্রায় ৫০০ অভিবাসীকে শহরের পাঁচটি দালানে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেয়া হয়৷ এরপর ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে কর্তৃপক্ষ৷ প্রায় চার বছর পর এসে উচ্ছেদ হওয়াদের মধ্যে ১৬০ জনের স্থায়ী থাকার বন্দোবস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ৷

সম্প্রতি নির্মিত একটি আধুনিক আবাসনে অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্থানান্তর করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে নতুন ভবনটিতে বসবাস করছেন ১৬০ জন অভিবাসী, যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকার দেশ মালির নাগরিক৷

কমিউনিস্ট পার্টি থেকে নির্বাচিত শহরের মেয়র পাত্রিক বেসাক ৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সামজিক আবাসনটি উদ্বোধন করেন৷

সেখানে জায়গা পাওয়া অভিবাসীদের একজন রেডিও ফ্রান্সকে বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট। আমরা খুব খুশি। আমরা এখন স্বর্গে আছি!”

বছরের পর বছর ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছিলেন এই অভিবাসীরা৷ শহরের মেয়র বলেন, “আগের জায়গাটি সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত ছিল৷ সেখানে তেলাপোকা ছিল৷ আমি সেখানে নিচের হল থেকে শুরু করে এমনকি ডাকবাক্সের নীচেও মানুষকে ঘুমাতে দেখেছিলাম৷ সেখনাকার পরিস্থিতি এক সময় বিপজ্জনক, অস্বাস্থ্যকর এবং কঠিন হয়ে ওঠে৷’’

এক পর্যায়ে মেয়র ভবনটিকে বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করেন৷ প্রায় ৫০০ বাসিন্দাকে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের জন্য দ্রুত একটি সরকারি ভবনের ব্যবস্থা করেন৷ তিনি বলেন, “এখন আমাদের একটি সুন্দর ও সত্যিকারের বাসস্থান আছে৷’’

আলোচিত বারা হোলে মোট ৫২৬ জন অভিবাসী ছিলেন৷ তাদের সবাইকে পাঁচটি বাসভবনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬০ জনকে স্থায়ীভাবে নতুন আবাসনে পুনর্বাসন করা হলো৷ বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে স্থায়ী আবাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷

মেয়র আরও বলেন, “এই ব্যবস্থা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ কারণ মালি থেকে আসা অভিবাসীদের মিলনকেন্দ্র ছিল ভবনটি৷ আমরা একই স্থানে ঐতিহাসিক ভবনটিকে পুনর্নির্মাণ করব৷’’

এই জনপ্রতিনিধি আরও জানান, “মালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা আইফেল টাওয়ার চেনার আগে এই সড়কের বাড়িটি চিনত৷ অভিবাসী জীবনের প্রথম দিকে নিজের কমিউনিটির সাথে পুনর্মিলনে এটি একমাত্র উপায় হয়ে ওঠে৷ আমি বিশ্বাস করি মন্ত্রই শহরের কাছ থেকে ফ্রান্সের অন্য স্থানের অনেক কিছু শেখার আছে৷ কারণ সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের অনেক অহিংস উদাহরণ আছে৷’’

নতুন আবাসনের ব্যবস্থাপক নাথালি পাইনারদি বলেন, “সরিয়ে নেয়ার কারণে তারা বেশ উদ্বিগ্ন ছিল৷ তাদের দায়িত্ব এক প্রকার আমার কাঁধে ছিল৷ এরইমধ্যে তারা আলাদা রান্নাঘরসহ নিজস্ব বাসা পেয়েছে৷ তাদের আবার হাসতে দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এতদিন ধরে এর অপেক্ষায় ছিলেন অভিবাসীরা৷’’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *